বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো:
শিল্প সম্ভাবনাময় ছয়টি জেলার সমন্বয়ে অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। জেলাগুলো হচ্ছে, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ । এসব জেলা হবে শিল্পপণ্য উৎপাদনের কেন্দ্র। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক জরিপকাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, করিডোরটি হলে ওই অঞ্চলের উৎপাদনশীলতা ২০৫০ সালে ১৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা বর্তমানের চেয়ে তিন গুণ বেশি হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এ সংক্রান্ত প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক সমীায় বলা হয়েছে, এই করিডোর দেশের দু’টি অঞ্চলের সাথে অর্থনৈতিক যোগসূত্র আরো গভীর করবে। অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এক দিকে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, অন্য দিকে পণ্য ও সেবার বাজারসুবিধা তৈরি হবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে পারলে ২০৫০ সালের মধ্যে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
সার্বিকভাবে ওই অঞ্চলে প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে, যা ওই অঞ্চলের বর্তমানের কর্মসংস্থানের চেয়ে তিন গুণের বেশি। এই অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি করতে সড়ক, রেল, বিমানবন্দর, নৌপথসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে আগামী ৩০ বছরে ১৪ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হবে বলে জরিপে উঠে এসেছে।
এই করিডোর একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা মন্তব্য করে এডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, করিডোরের আওতায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কার করতে হবে। করিডোরের মূল সড়ক হবে যশোর-খুলনা-বাগেরহাট গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট-ভাঙ্গা-পদ্মা সেতু-ঢাকা; যশোর-মাগুরা-ফরিদপুর-পাটুরিয়া-ঢাকা এবং যশোর-নড়াইল-কাশিয়ানী-ভাঙ্গা-পদ্মা সেতু-ঢাকা। এ ছাড়া ১৭টি রেল লিংক ও চারটি অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো, আটটি নদীবন্দর ও দু’টি নৌপথ নির্মাণ করতে হবে।
করিডোরের জন্য ঢাকা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরিশাল ও যশোর বিমানবন্দর কাজে লাগানো যাবে। এ জন্য এসব বিমানবন্দরের উন্নয়ন করে ২০৫০ সালের মধ্যে পরিবহনের সমতা বছরে ৫০ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। অন্য দিকে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের পণ্য হ্যান্ডেলিংয়ের সমতা ৭৮ কোটি টনে উন্নীত করার প্রয়োজন হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply