মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলবে একটি ট্রেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে জুনাইদ মনিরকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী ঘাটাইলে কৃষি জমিতে বন বিভাগের গাছের চারা রোপণ, বিপাকে এলাকাবাসী মাদক ও চোরাই মোবাইলসহ গ্রেপ্তার একজন  ইবির মেগা প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রমান মেলেনি আক্তার ফার্নিচারের বিরুদ্ধে নীলফামারীতে আসাদুজ্জামান নূর এমপির সাথে নাসিব নীলফামারীর শুভেচ্ছা বিনিময় মাদারগঞ্জে বাচ্চু চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা বাদল এর মা আর নেই স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হলো তজুমদ্দিনে শাহে আলম মডেল কলেজে গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বেহাল অবস্থা, কর্তৃপক্ষের চোখে কাঠের চশমা সাতক্ষীরায় শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন

খুলনায় সাড়ে ৩ শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মানববন্ধন পিডিবিএফ’র ভারপ্রাপ্ত এমডি মদন মোহনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: অপসারণ দাবি

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৪৯ Time View

বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো:
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মদনমোহন সাহা ও সৌরশক্তি প্রকল্প পরিচালক সহিদ হোসেন সেলিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে তাদের অপসারণ দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানের ‘চাকুরী আছে বেতন নেই’ এমন সাড়ে ৩শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী। গত সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। পরে তারা চাকুরীতে স্থায়ীকরণ ও নিয়মিত বেতনের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মাবনবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
পিডিবিএফ’র ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ফিল্ড এ্যাসিস্ট্যান্ড মো. সুমন হোসেন বলেন, সম্প্রতি কন্ট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেলের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ভারপ্রাপ্ত এমডি ও সৌরশক্তি প্রকল্প পরিচালকের নিয়োগ অবৈধ উল্লেখ করে তাদের চাকরিচ্যুৎ করে গ্রহণ করা বেতন আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে। তারপরও তারা বহাল আছে। যোগদানের মাত্র ১ বছরের মধ্যে তারা টিআর ও কাবিখা প্রকল্প থেকে লুটপাট করেছে। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলাসহ দেশের ৫টি উপজেলা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর, টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এরমধ্যে ডুমরিয়ায় ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকাসহ মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এ টাকা থেকে ৫ শতাংশ কমিশন খাত উল্লেখ করে হাতিয়ে নেয়া হয় ৬০ লাখ টাকা এবং সরবরাহ করা সোলার সিস্টেমে পুরাণো ও নি¤œমানের মাল সরবরাহ করে টাকা তছরুপ করা হয়। সেই সাথে কোন ধরণের টেন্ডার ছাড়াই খোলা বাজার থেকে মাল ক্রয় করা হয়। যে কারণে অতি দরিদ্র পরিবার, মসজিদ ও মন্দিরে দেয়া সোলার সিস্টেম থেকে আলো পাচ্ছেন না সুবিধাভোগীরা। এছাড়া মদন মোহন সাহা প্রতিষ্ঠানের মামলা খরচের নামে ৪০ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। আবার প্রতিষ্ঠানের আইনজীবি যথারীতি মামলা খরচের বিল দাখিল করে তার সম্মানির টাকা তুলে নিয়েছেন। পল্লী রং প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্যসামগ্রী ক্ষমতার অপব্যবহার করে হস্তগত করে টাকা পরিশোধ করেননি। এছাড়া পিডিবিএফ সম্প্রসারণ প্রকল্পে লোক নিয়োগের ওয়েটিং লিস্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তিনি নিজের ক্ষমতাবলে ৩৮ জন কর্মি অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন। যেখানে সোলার প্রকল্পের কর্মিরা অনাহারে অর্ধাহারে জীবন-যাপন করছেন, সেখানে তিনি লোক নিয়োগ দিয়ে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, তার পরিবার প্রতিষ্ঠানের ৩টি গাড়ী ব্যবহার করেন। একটি নিজে, একটি তার ছেলে, অন্যটি স্ত্রী। কিন্তু অফিসিয়ালভাবে তার জন্য ১টি গাড়ী বরাদ্দ আছে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত এমডি একাই ৪টি পদ দখলে আছেন। পদগুলি হলো: ভারপ্রাপ্ত এমডি, পরিচালক (অর্থ), পরিচালক (মানব সম্পদ) ও অতিরিক্ত পরিচালক (মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা)। অথচ তার অদক্ষতারকারণে প্রতিষ্ঠানটি ডুবতে বসেছে। গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খেলাপি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও উল্লেখ করেন, সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৯ তম বৈঠক সাবেক মন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অডিট নিরীক্ষায় ভারপ্রাপ্ত এমডি ও সৌরশক্তি প্রকল্প পরিচালকের নিয়োগ অবৈধ উল্লেখ করে তাদের চাকরিচ্যুৎ করে গ্রহণ করা বেতন আদায়ের যে সুপারিশ করা হয়েছে তার সাথে সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি একমত পোষণ করেন। অডিট রিপোর্ট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ অডিটের মন্তব্য অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। এক মাসের মধ্যে মহা-হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সভার সিদ্ধান্ত অদ্যবধি গৃহিত হয়নি।
এদিকে, সোলার কর্মিদের চাকুরি স্থাীয়করণের দাবিতে রিট (৫১৩৮/এপ্রিল ২০১৭) দায়েরের কারণে ৫ জনকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে রায় পাওয়ার পরও তাদেরকে পুনর্বহাল করা হয়নি। সেই সাথে সোলার প্রকল্পের ২৮৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকুরি আছে বেতন নেই- অবস্থার মধ্যে আছেন। সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের চাকুরি স্থায়ী ও বেতন নিয়মিত করার দাবি করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়