শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নীলফামারীতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন ঢাকাসহ তাপপ্রবাহ বইছে ৬০ জেলায় সোনারগাঁয়ে ৭টি রেষ্টুরেন্টসহ দুই হাজার অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন ১ জনকে আটক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ছে ১১৮৯ কোটি টাকা দাম কমবে ইন্টারনেটের ১৬১ টাকা কমলো ১২ কেজি এলপিজির দাম মেলান্দহের আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্র! উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ রেললাইন বস্তি অপরাধ মাদকের অভয়ারণ্য গুলশান-বনানীর বিস্তৃত এলাকার একচ্ছত্র মাদক সম্রাট হুমায়ুন কবির গাজী ক্ষমতার জোরে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে; থানায় অভিযোগ

খুলনা রায়েরমহলের চিহৃিত ভুমিদস্যু যুদ্ধপরাধ মামলার আসামীর পুত্র শেখ জাফিরুলের খুটির জোর কোথায়

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯
  • ৫৯ Time View

খুলনা প্রতিনিধিঃ

 

খুলনা মহানগীর বিল পাবলা মৌজায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে অবৈধ ভাবে জমি দখলের চেষ্টা । গত ২৭ মার্চ সকালে বিল পাবলা মৌজার মৃত আজিজ খন্দকারের পুত্র আলমগীর খন্দকার ও জাহাঙ্গীর খন্দকারের পৈত্তিক সম্পত্তি দখলের জন্য স্থানীয় ভুমিদস্যু চক্র আকমানের মোড় বালু এনে জমা করে । জমাকরা বালু স্যালো ইঞ্জিনদ্বারা পাইপ লাইনের মাধ্যমে আলমগীরের পৈত্তিক সম্পত্তি পর্যন্ত নিয়ে আসে । বিষয়টি যেনে ভুমি মালিক স্থানীয় থানা পুলিশকে জানান । থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় বালুৃ ভরাটের জন্য যে পাইপ লাইনের কাজ বন্ধ করে দেয় ।

 

আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও থানা পুলিশের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভুমিদস্যু কর্তৃক বৃহস্পতিবার সন্ধায় নিষেধাজ্ঞা ভুমিতে বালু ভরাট শুরু করে । এ সময় ভুমি মালিক আলমগীর খন্দকার বাঁধা দিলে তাকে প্রাননাষের ভয় দেখিয়ে জমি থেকে তারিয়ে দেয় । এ ঘটনা তিনি স্থানীয় বিট পুলিশ ও ওয়ার্ড পুলিশিং কমিটির দ্বারস্থ হলে টহলরত পুলিশের এস আই আমজাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থেল পৌছালে ভুমিদস্যু চক্রের সদস্যরা কাজ বন্ধ করে পালিয়ে যায় । এ সময় পলিশ আশপাশের লোকদের জানিয়ে দেয় আলমগীরের জমিতে কোনরুপ বালু ভরাট করা না হয় এই বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন । ভুমিদস্যু চক্রটি স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় পুনরায় শুক্রবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে বালু ভরাট শুরু করে । খবর পেয়ে ভুমি মালিক আলমগীর খন্দকার ও জাহাঙ্গীর খন্দকার তাদের জমিতে বালু ভরাট কাজে বাধা দিলে ভুমিদস্যু চক্রের পালিত সন্ত্রাসী মোহর শেখ,ওমর আলী শেখ,আমির ,আনিস ,শরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন সন্ত্রাসী আলমগীর ও জাহাঙ্গীরকে অস্ত্র ঠেকিয়ে জমির পাশে ওমরের ঘরে আটকে ব্যাপক মারপিট করে । এ খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে পৌছালে সন্ত্রাসী ওমর নিজের ঘরের টিনে নিজেই পিটি খুলেদেন এবং অন্যরা নিজেদের পাইপ লাইন ও জরোকৃত পাইপ ভেঙ্গে দৌড়ে পালিয়ে যায় । এ ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ভুমিদস্যু চক্রটি থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে উল্টা ভুমি মালিকসহ তাদের লোকদের বিরুদ্ধে ওমর আলীকে বাদী বানিয়ে আড়ংঘাটা থানায় মামলা দায়ের করে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরসহ তাদেরকে এলাকা ছাড়া করছে । ঐ এলাকার চিহৃিত ভুমিদস্যুরা এতই শক্তিশালী তাদের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলবে তারাই গ্রাম ছাড়া হবে এটা এক প্রকার নিয়মে পরিনত হয়েছে। তারা নিরিহ ভুমি মালিক ও ভিন্ন ধর্মের মানুষের জায়গা জমি জোর পূর্বক দখল করে আসছে । ভুমিদস্যু হচ্ছে রায়েরমহলের চিহৃিত রাজাকার মনু শেখের পুত্র জাফির শেখ । তারা রাজাকার পরিবারের লোক হলেও তাদের এ অবৈধ কাজে নেপথ্যে রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর অ-সাধু কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা । ক্ষমতাসীন দলের ওই নেতার কাজই হচ্ছে রাজাকার ভুমিদস্যু পরিবারকে ছায়া দেয়া ।

 

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি আলমগীর খন্দকার জানান,খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার অন্তরর্গত বিল পাবলা মৌজায় আমার দাদা মৃত শফি উদ্দিন খুনিয়া বিল পাবলা মৌজায় এস এ – ৪৬২,৪৬০,৭৩৩,৪৬৫,৭৪০,৭৩৯,১৪২৫, মোট ৭টি খতিয়ানে ৭.১০৭৭ একর জমির পৈত্তিক ওয়ারেশ সূত্রে স্বত্ববান । দাদার নিজ অংশের ৭.১০৭৭ একরের সাথে তার সহদর ভ্রাতা ইসমাইল খুনিয়ার ওয়ারেশ সুত্র স্বত্ববান ৪.৩৮২৫ জমি সহ মোট ১১.৪৯ একর ভুমির ওয়ারেশ স্বত্ববান মালিক । আমার দাদা অসুস্থ হলে বাবা আব্দুল আজিজ খুনিয়া সেবা যত করায় ১৯৬৩ সালে ১১.৪৯ একর জমির একটি অ-রেিিজস্ট্রিকৃত অছিয়াত নাম করিয়া যান । আমার বাবা আব্দুর আজিজ অছিয়াতনামা মূলে প্রাপ্ত ১১.৪৯ এবং খতেজান বেগমের নিকট খরিতকৃর্ত সূত্রে প্রাপ্ত ১.৯৫ একর জমির মধ্য হতে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারী ১৩৭/০৮ নং হেবা ঘোষনা দলিল যার আর এস ১৪৮২.২২৫১ ও ১২০২ নং খতিয়ান হতে ৪.৯৫ একর জমি আমাকে এবং আমার ভাই খন্দকার জাহাঙ্গীরকে হেবা করে দেন । বাবার অবশিষ্ঠ ৬.৫৪ একর জমিতে আমার চার বোন ও দুই ভাইকে ওয়ারেশ রেখে মৃত্যু বরন করেন । অথচ উক্ত ভুমির জরিপকালে ভুলক্রমে আমার সৎ ফুফু সালেহা বেগমের নামে ৪টি খতিয়ানে ১.৩৭৭৮৪ একর এবং আরো ৪টি পৃথক খতিয়ানে ১.৯১২৪ একর জমি রের্কড ভুক্ত হয় । অথচ ঐ রেকর্ডের কোন ভিক্তি নাই । কারন সালেহা বেগমের মাতা খতেজান বেগম ওয়ারেশ সুত্র প্রাপ্ত ১.৯৫ একর জমি গত ৬/১২/২০০৫ সালে আব্দুল আজিজ এর নিকট ৬২৩১//০৫ নং রেজিস্ট্রি দলিল সম্পন্ন করেন । তিনি আরো জানান,উক্ত জমির ক্ষেত্রে তাদের কোন স্বত্ত নেই । তিনি কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন,ভুলক্রমে রের্কড হওয়া জমির রের্কড সংশোধির মামলা চলমান থাকা অবস্থায় স্থানী ভূমিদস্যু রাজাকার পরিবারের সদস্য অস্ত্রবাজ কয়েকডজন মামলার আসামী জাফির শেখ,১৬নং ওয়ার্ডের বির্তকিত ও স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দাখিলকৃত খুলনার সন্ত্রাসী ও মাদকের পৃষ্ঠপোষকের তালিকাভুক্ত এক নেতা ও তার সহযোগি ভুমি জালজালিয়াত চক্র মৃত সালেহা বেগমের দুই কন্যা স্মৃতি এবং তমার কাছ থেকে বায়না রেজিস্ট্রি দেখিয়ে আমার পরিবারের সকল সম্পত্তি ঐ ভুয়া বায়নাপত্রের মাধ্যমে দখল করতে মরিয়া ।

 

তাদের সাথে রয়েছে রায়েরমহলের রাজাকার,ভুমিদস্যু,চরমপন্ত্রি সন্ত্রাসীরা । এই চক্রের রোষনলে যে ভুমি মালিক পড়বে তার জীবন তরী নিভে যায় । আমিও আমার পরিবার এখন তাদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারিনা । তাই আপনাদের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং রায়েরমহল,মোস্তর মোড়,হামিদনগর,পুজাখোলা,কুলতলাসহ আশপাশ এলাকার চিহৃিত ভুমিদস্যু ,সন্ত্রাসী ,অস্ত্রবাজ কয়েকডজন মামলার আসামীরা কি ভাবে প্রকাশ্যে থেকে সাধারন নিরিহ মানুষের বসত ভিটা ,হিন্দু স¤প্রদায়ের জায়গা জমি,নিরিহ ভুমি মালিকের জমি দখল করে দের্দাচ্ছে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়