ফ,ম,আইয়ুব আলী, খুলনা :
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখছেন। তারি সহায়তায় খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান কর্মযজ্ঞ আলোচনা প্রসঙ্গে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেন, আমি আমার ৩টি উপজেলাকে আমার মনের মতন করে সাজাতে চাই। করোনাকালীন সময়ে আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের কাছে এসে হাতে হাত মিলিয়েছি, আপনাদের সাহস যুগিয়েছি, নিজস্ব অর্থায়নে করোনাকালীন সময়ে ৩৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। খুলনা শাখার আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছি। করোনা রোগীদের জন্য ৪০টি ‘সার্জিকাল বেড’,৬০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও খুলনা মেডিকেলে দু’ হাই- ফ্লো লেজেন ক্যানোলা “মূর্শেদী সেবা সংঘের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। জাতিসংঘের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ” রিয়েল লাইফ হিরো” আঁখিকে উদ্যোক্তা বানাতে ১২ লক্ষ টাকার গার্মেন্টস মেশিনারিজ প্রদান করা হয় এবং তার ফ্যাক্টরি ও ঘরের জন্য জায়গার বন্দোবস্ত করা হয়। ৪১টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে,অতি শীঘ্রই গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে এই জমিসহ হস্তান্তর করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে তিন উপজেলায় পাঁচ শত(৫০০) গৃহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করেছেন। তিন উপজেলায় ৫০টি সাবমারসিবল ওয়াটার পাম্প-৩০টি, কমিউনিটি ল্যাট্রিন ৩০টি ওয়াশ ব্লক এবং ৪টি,Reverse Osmosis(Ro) স্থাপন করা হয়েছে। করোনা কালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে গরীব, দুস্থ, অসহায় এবং কর্মহীন মানুষের মাঝে ঔষধ ও খাদ্য সহায়তা সহ সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করেন।
তিন উপজেলায় তিন হাজার(৩০০০) রেইন ওয়াটার হারভেস্টিক দেওয়া হয়েছে। তিন উপজেলায় চার হাজার(৪০০০) গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। তিন উপজেলায় ৪০টিরও বেশি খেলার মাঠের আধুনিকায়ন সহ উন্নয়ন করা হয়েছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য তিন উপজেলায় প্রায় ১০০টি মন্দিরের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিন উপজেলায় প্রায় ৫০০ টি মসজিদ, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। ১৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা(MPO) ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রায় ১০০ টি( স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৭টি ভূমি অফিস ও ১টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪০ টি ব্রিজ ও কালভার্ট,৩০ টি হাট বাজারের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার( রাস্তা পাকাকরণ পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার) রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আলাইপুর ব্রিজের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
রূপসা ও তেরখাদার দু’টি মডেল মসজিদের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং দিঘলিয়ার মডেল মসজিদের কাজ চলমান রয়েছে। দিঘলিয়া ও তেরখাদায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের কাজ চলমান এবং রুপসা উপজেলায় টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আড়ুয়া আতাই নদীর উপরে ‘আতাই সেতু’ নির্মাণে স্পেন সরকারের অর্থ সহায়তায় সম্মত সহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৩ মিটার দৈর্ঘ্যের দিঘলিয়া ভৈরব সেতু প্রায় ৬ শত ১৭কোটি টাকার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এটা একটি মাইলফলক।
ভৈরব নদীর উপরে ‘ভৈরব সেতু’র নির্মাণ কাজ চলমান। সারা দেশের ন্যায় আমার নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য,যোগাযোগ বিদ্যুৎ সহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে হাইওয়ে সড়ক, আন্তজেলা সড়কসহ গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।খুলনা মংলা হাইওয়ে সড়ক ইলাইপুর হয়ে কুটিরহাট পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা ৪কোটি টাকায় নির্মিত হয়েছে। জাবুশা নার্সারিসহ জাবুশা বিল ক্ষুদ্র পানি সম্পদ উন্নয়ন করে কৃষকদের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। সামাজিক উন্নয়নের তিলক হাট বাইতুন নূর জামে মসজিদের ৭ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে।
কুদির বটতলা শ্মশান কালী মন্দির নির্মাণ সহ পুকুর সংস্কার করা হয়েছে। তিন উপজেলায় প্রায় ১০০ উপরে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েছে। প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা হয়েছে। ছোট ছোট কালভার্ট সহ বড় ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। বিশেষ করে তিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র সুন্দর ও সঠিকভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তাছাড়া দৃশ্যমান রূপসা উপজেলায় রূপসা কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ, এমপির নিজস্ব অর্থায়নে খেলার মাঠ সংস্কারসহ ও গর্জে উঠুক বাংলাদেশ একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ হয়েছে।প্রায় ৩৫০ পরিবারকে আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের জন্য পানির পাম্প বসানোর কাজ চলমান। এছাড়া সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যায়ে বাগমারা আল আকসা দাখিল মাদ্রাসার ৪তলা ভবন নির্মাণ চলমান রয়েছে। শামসুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪তলা ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিটি নাগরিকের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সকল ভাতা চালু ও নিয়ম অনুযায়ী বন্টন করছি। আমি রুপসা উপজেলায় বয়স্ক ভাতা শতভাগ করেছি।
আমার সহধর্মিনী এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান মিসেস সারমিন সালাম নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে টেকসই দারিদ্র স্বাবলম্বী করণে ” বঙ্গমাতা টেইলার্স ” ৩ উপজেলায়৫০ টি সেলাই মেশিনসহ সিট কাপড় দিয়েছেন। স্বেচ্ছায় তিনি মানবিক সেবায় অব্যাহত রয়েছেন।
তারি ধারাবাহিকতায় রোগীর সেবায় অর্থ সহায়তা, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় সার্বিক সহযোগিতা, উপযুক্ত বয়সে মেয়েদের বিবাহে অর্থ যোগানসহ মানবিক ও সামাজিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। নারীদের সম্মানকে সবার কাছে তুলে ধরতে ও সমাজে তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে ‘বাংলাদেশ উইমেন্স ইনস্পিরেশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ পেয়েছেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply