কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভবানী পুর গ্রামে অর্থ সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা, ছেলে ও মেয়ের যোগসাজশে পিতাকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, তিন সন্তানের জনক নিহত সানাই (৪৫) তার মেয়ের তালাক পরবর্তী দেনমোহরের টাকা নিতে চাওয়ায় মা-ছেলে ও মেয়ে মিলে বাবাকে হত্যা করে ৩ মাস আগে রান্না ঘরের মেঝেতে পুতে রাখে।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, ৩ মাস আগে স্ত্রী সন্তান মিলে সানাই কে হত্যা করে রান্না ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুঁতে রাখে। এ ঘটনার পর দুই মেয়ে সোনিয়া রিমা ও মা ঢাকায় গার্মেন্টস এর কাজে চলে যাই। সানাই এর বাড়িতে তিন মাস তালাবদ্ধ দেখে সানাই এর বড় ভাই নিহতের খোজ জানতে চায় তার ভাতিজার নিকট। বাবা ফিরে আসবে না এমন কথা বলায় সন্দেহের আবির্ভাবে রানার বড় চাচা মোঃ বারিক বিশ্বাস খোকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বিভিন্ন ভাবে তদন্তের পর অবশেষে সানাই হত্যার মূল আসামি ছেলে রানাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
নিহত সানাই এর স্ত্রী রানী খাতুন ও তার ছেলে রানা আটক হয়েছে। রানার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে জানা যায় দিনমজুর সানাই তার মেয়ে সোনিয়ার দুইবার বিয়ে ও তালাকের পর দেনমোহরের টাকা নিতে চাইলে তার স্ত্রী পুত্র ও কন্যা বাধা সৃষ্টি করে। ক্ষিপ্ত হয়ে সানাই তাদেরকে মারধর করলে তারা তিনজন মিলে তাকে হত্যা করে রান্না ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে ঢাকা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজে চলে যায়।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে খোকসা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-০২ তারিখ
০২/০৫/২০১৯ ইং।
Leave a Reply