শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:২০ অপরাহ্ন

গতি বেড়ে আরও শক্তিশালী ফণী : ৭ নং বিপদ সংকেত

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৯
  • ৪৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আগামীকাল শুক্রবার সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।

‘ফণী’ আরো ঘণীভূত ও উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল শুক্রবার বিকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। পরবর্তীতে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।

এ কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজারকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান, অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ।

ব্রিফিং থেকে জানানো হয়, ভোলা, বরগুনা পটুয়াখাল, বরিশাল, পিরোজপুর ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং আশপাশের চর ও দ্বীপ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। অন্যদিকে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও এর আশপাশের চর ও দ্বীপ থাকবে ৬ নম্বর সংকেতের আওতায়।

সামগ্রিক ঝড়ের প্রভাবে ভোলা, বরগুনা পটুয়াখাল, বরিশাল, পিরোজপুর ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি জলোচ্ছাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক। তিনি বলেন, এসব স্থানের উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেড়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের ওপর ফণীর মূল আঘাত আসতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক। তবে ঝড়ের গতিপথ ও গতি পরিবর্তনশীল জানিয়ে তিনি বলেন, এমনও হতে পারে যে এটি আরও আগেই আঘাত হানবে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৯০ থেকে ১১০ কি. মি. বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়