বশির আলম, টঙ্গী প্রতিনিধি :
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ইছর এলাকায় রোববার রাতে শ্যালকের লাঠির আঘাতে প্রাণ হারালেন দুলাভাই। নিহতের নাম কামরুল ইসলাম (৪৩)। তিনি ভোলা জেলা সদরের ছোট মাইনকা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জিএমপি গাছা থানায় নিহতের শ্যালক আব্বাস হাওলাদার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আব্বাস হাওলাদার দ্বিতীয় স্ত্রী তাহিনুর বেগমকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন ইছর এলাকায় আব্দুল কাদিরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। প্রথম স্ত্রী রিতা বেগম আব্বাসের ভোলা জেলা সদরের দক্ষিন বালিয়া গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। আব্বাস প্রথম সংসারের তেমন ভরণপোষণ ও খোঁজখবর নিতেন না। ফলে প্রথম স্ত্রী রিতা বেগম ক্ষুধারজ্বালা মেটাতে সন্তানদের নিয়ে গাজীপুরে কাজের সন্ধানে আসেন এবং ইছর এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। আব্বাস ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাহিনুর বেগম বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্দ হন, এবং রিতা বেগমকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন। গ্রামে ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে রিতা বেগমের ভাড়া বাসায় গিয়ে চড়াও হন তারা। এ ঘটনায় রিতা বেগম আব্বাসের ভগ্নিপতি কামরুল ইসলামের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। ঘটনার সময় কামরুল ইছর এলাকায় জনৈক রুবেলের রিকশার গ্যারেজের সামনে আব্বাসকে পেয়ে প্রথম স্ত্রীর সাথে জামেলার বিষয়ে জানতে চান।
এসময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আব্বাস কাঠের বাটাম দিয়ে ভগ্নিপতি কামরুলের মাথায় আঘাত করেন। এতে কামরুল গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে গাছা থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে কামরুন নাহার মুন্নি বাদী হয়ে মামা আব্বাস ও মামি তাহিনুর বেগমকে আসামী করে গাছা থানায় মামলা করেন।
এ ব্যাপারে গাছা থানার ওসি মো. ইব্রাহিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর আব্বাস ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাহিনুর বেগম পালিয়ে গেছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply