গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুর জেলার হোতাপাড়ায় গাজীপুর সদর প্রেসক্লাবে ৯ এপ্রিল রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় কোকোমো সানসেট রির্সোটের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রিফিং দেন গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সূর্য্যনারায়ান পুরে অবস্থিত কোকোমো সানসেট রির্সোটে ব্যবস্হাপনা পরিচালক জনাব শহিদুল ইসলাম।
কনক্রিট ডেভেলপমেন্ট এন্ড কনসালটেন্ট লিঃএর পক্ষে ব্যবস্হাপনা পরিচালক জনাব শহিদুল ইসলাম, ২০১১সালে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় ৩৩শতাংশ জমি ক্রয় করেন, যাহার মূল্য( ১৫)পনেরো লক্ষ টাকা, আর সেই জমির মালিক মোঃতোফাজ উদ্দিন খাঁ।
তোফাজ উদ্দিন খানের ছেলে হেলাল উদ্দিন খান, পিতা মোঃ তোফাজ উদ্দিন খাঁ ১৫-০৫-২০১১ইং তারিখে ৩৩ শতক জমি বিক্রি করেন যাহার তফসিলঃ জিলা- গাজীপুর, থানা ও সাব-রেজিঃ অফিস কাপাসিয়া অধীন। জে.এল নং- মৌজা “ সূর্য্য নারায়নপুর” স্থিত। সি.এস ৬১ নং এস.এ ১৪৮ নং, আর. এস ১১১৮ নং খতিয়ান ভুক্ত। সি.এস ও এস. এ ১১৭৬ ( এক হাজার একশত ছিয়াত্তর) নং আর.এস ৩১৪৩ ( তিন হাজার একশত তেতাল্লিশ) নং দাগের মোট জমি ১১২ শতাংশ, ইহার কাতে আমার খরিদা ৭৭ শতাংশ, ইহার কাতে ৩৩ শতাংশ তেত্রিশ) বা ৩৩০০ ( তিন হাজার তিনশত) অযুতাংশ চালা জমি। হেলাল উদ্দিন। থান ১৬-০৫-২০১১ইং তারিখে নগদ ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও পে অর্ডারের মাধ্যমে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ( পে-অর্ডার নং- ০১৭০০০৩, প্রাইম ব্যাংক লি, প্রগতি স্বরণী শাখা, তারিখ- ১৫-০৫- ২০১১ইং) মোট ১৫ লক্ষ টাকা ৫০ টাকা স্ট্যাম্পে টাকা প্রাপ্তির স্বীকারপত্রের মাধ্যমে ও ০৬ (ছয়) মাস মেয়াদের মধ্যে দলিল রেজিষ্টি করিয়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি উল্লেখ করে ১ টি বায়না দলিলের মাধ্যমে সরেজমিনে জমিটি বুঝাইয়া দেন যাহা কোকোমো সানসেট রিসোর্টের বাউন্ডারির ভিতরে অবস্থিত।
সংবাদ সম্মেলনে, শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১১ (এগারো) বছরের উর্ধ্বে অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু আজ ১৫লাখ টকার বিনিময়ে ক্রয় কৃত ৩৩শতাংশ জায়গা নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নিতে পারিনি। এবং একাধিক বার জমির আগের মালিককে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার অনুরোধ করেও কোন লাভ হয়নি। কোন ধরনের সাড়া না পেয়ে গত ৮ই জানুয়ারি ২৩ ইং তারিখে আমি একটি উকিল নোটিশ পাঠাই।কিন্তু মালিক পক্ষ হতে উকিল নোটিশের কোন উত্তর না পেয়ে ২৪শে জানুয়ারী২৩ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কাপাসিয়া, গাজীপুর বরাবরে “জমি ক্রয়ের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ স্বত্ত্বেও রেজিষ্ট্রেশন না দেওয়া প্রসঙ্গে” শিরোনামে লিখিত অভিযোগ করি।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পত্রের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গত ১৫ ই মার্চ ২৩ ইং তারিখে বিকাল ৩.০০ টায় ২ পক্ষকে ডেকে শুনানী করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেলাল উদ্দিন খানের অনুরোধে শুনানীর জন্য আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করেন যা ছিল ২৯শে মার্চ ২৩ইং আমি শহিদুল ইসলাম উক্ত শুনানীতে উপস্থিত থাকলেও হেলাল উদ্দিন খান উপস্থিত হননি। পরবর্তীতে আমি হঠাৎ ৪ই এপ্রিল ২৩ইং তারিখে আমার স্টাফদের নিকট হতে ও লোকমুখে জানতে পারি জমির রেজিষ্ট্রি না দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করে অন্যত্র থানা থেকে বেশ কিছু ভাড়া করা দিনমজুর এবং অত্র উপজেলার নেতা-কর্মীকে টাকার বিনিময়ে এনে আমার মালিকানা নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান কোকোমো সানসেট রিসোর্ট যাহা এখনো ব্যসায়িকভাবে উন্মুক্ত নয়, ঠিকানা- পাবুর রোড, সূর্য্যনারায়ণপুর, কাপাসিয়া, গাজীপুর এর সম্মুখে কিছু মিথ্যা, বানোয়াট ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। যাহা আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
তিনি আমাকে ব্যবসায়িকভাবে, সামাজিকভাবে, মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করেছে। যাহার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার যথাযথ বিচার দাবি করছি।
এবং তিনি আরোও বলেন আমি এতো বছর আগে আমার কষ্টের টাকা দিয়ে জমি কিনেও আজ রেজিষ্ট্রি করে বুঝে পাইনি, তার উপর আমার এবং রিসোর্টের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মিথ্যা, বানোয়াট রটনা রটিয়ে আমার মানহানি করছে তার বিপরিতে আমি তার নামে ১০দশ কোটি টাকা মানহানির মামলা দায়ের করবো।
তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন, আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা, আমি অনেক কষ্ট করে প্রবাসে থেকে আয় করা উপার্জনে কেনা এই রিসোর্টের জায়গা, যাহাতে আমি আমার জায়গার রেজিস্ট্রি করে সম্পূর্ণ ভাবে বুঝে পাই,সেই সহযোগিতা কামনা করছি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply