স্টাফ রিপোর্টার :
ডাক্তার আসার নিশ্চিয়তা নাই, অথচ নিয়মিত রোগীদের সিরিয়াল নেয়া হয়। তবে ডাক্তার বসবেন এমন নিশ্চিয়তা দিয়েই সিরিয়াল দেয়া হয়। কিন্তু সিরিয়াল অনুযায়ী নির্ধারিত দিন ও সময়ে ডাক্তার পাওয়া যায় না। কারণ জিজ্ঞেস করলে রোগীদের সাথে চরম দুর্বব্যহার করা হয়। গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার বড়বাড়ি এলাকায় গাজীপুর পপুলার হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ঘটছে এমন ঘটনা।
ভুক্তভোগী কলমেশ্বর এলাকার ভাড়াটিয়া মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার অসুস্থ্য ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য গত মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে আলোচিত গাজীপুর পপুলার হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। কোনো শিশু ডাক্তার আছেন কিনা তিনি জানতে চান। প্রতি উত্তরে তাকে জানানো হয় ওই দিন (মঙ্গলবার) বিকেলে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুর রশিদ জুয়েল উক্ত হাসপাতালে চেম্বার করবেন। এসময় সিরিয়াল দেওয়ার জন্য তার নাম জানতে যাওয়া হয়। তিনি নাম বলার পর অপরপ্রাপ্ত থেকে তার সিরিয়াল ‘১’ নম্বর বলে জানানো হয়। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় তিনি রোগী নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আবারো ফোন দিয়ে ডাক্তার চেম্বারে এসেছেন কিনা জানতে চান।
এ সময় হাসপাতাল থেকে তাকে জানানো হয় ‘মঙ্গলবার ডাক্তার চেম্বার করেন না’। তাহলে সকালে কেন সিরিয়াল নেয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই অপরপ্রান্ত থেকে নারী কণ্ঠে তাকে অশালীন অশ্লিল ভাষায় গালাগাল করে ফোন রেখে দেয়া হয়। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার সাথে দুর্বব্যহার করছে তাতে আমার তেমন অভিযোগ নেই, কিন্তু ডাক্তার আসার কথা বলে আমার সময় ক্ষেপন করা হলো কেন ? ডাক্তার মঙ্গলবার আসবেন না তা আমাকে সকালে সিরিয়াল দেওয়ার সময় জানালে আমি অসুস্থ ছেলেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতাম।
এখন ডাক্তার খোঁজতে গিয়ে আমার সন্তানের অবস্থা আরো খারাপ হলে এর দায় দায়িত্ব কি গাজীপুর পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিবে ? যে হাসপাতালে নিয়মিত ডাক্তার আসার কোনো নিশ্চিয়তা নাই এবং রোগীর সংখ্যা দেখে কল দিয়ে হাওলাত করে ডাক্তার আনা হয় সেধরণের হাসপাতালের কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, চিকিৎসার নামে যারা রোগীদের সাথে প্রতারণা করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্তা করা উচিত।
এ বিষয়ে গাজীপুর পপুলার হাসপাতালের মালিক ডা. সোলায়মান কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply