এস.এম নূর :
রাজধানীর উত্তরার পশ্চিম থানা এলাকার ১৩ নং সেক্টরের জমজম টাওয়ারের পশ্চিমপার্শ্বে খুলনা বাগেরহাট খান জাহান আলী রেন্ট-এ কার ব্যবসা করে মতিউর। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে গাড়ী ভাড়া দিয়ে সকলের কাছে নিজেকে ইতিমধ্যে আস্থাভাজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। মতিউরের রেন্ট-এ কারের ড্রাইভার মোঃ রতন মিয়া, পিতা- মোঃ মোশারফ আলী, গ্রাম- নাওডাঙ্গার চর, ভোলার আলকি, থানা- গৌরীপুর, জেলা- ময়মনসিংহ। গত ০৭/১২/২০২০ ইং তারিখ ড্রাইভার রতন তাহার এক আত্মীয়কে নিয়ে চট্টগ্রাম যাবে এবং ০৯/১২/২০২০ ইং সকালে ফিরে আসবে বলে মতিউরের অফিস হইতে প্রাইভেটকার প্রিমিও রং সাদা, যাহার নং- ঢাকা মেট্রো- গ, ৩১-৪৮০০, মডেল ২০০৭, গাড়ীটি নিয়ে চলে যায়।
মতিউর ০৮/১২/২০২০ ইং সকাল অনুমান ৮টার দিকে ফোন করলে রতনের মোবাইল নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানায়। পরবর্তীতে অনেক খোজাখুজি এবং প্রশাসনের সহযোগীতায় জানা যায়, মতিউরের গাড়ী নিয়ে ৮ হাজার ইয়াবা সহ জনৈক নজরুল নামক ড্রাইভার কক্সবাজার উখিয়া থানায় আটক হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, রতন নিজেও একজন মাদক ব্যবসায়ী।
বিভিন্ন গাড়ীর মালিকদের কাছে নিজেকে সৎ ও নির্ভর যোগ্য ড্রাইভার হিসেবে কিছুদিন ভাল অভিনয় করে সুযোগ বুঝে তাদের গাড়ী নিয়ে এ ধরনের অঘটন ঘটিয়ে হাতিয়ে নেয় টাকা।
রতন ও তার সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিল বলে জানা যায়। মতিউর দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে আরো জানায়, আমি রতনকে ড্রাইভার হিসেবে রেখেছি সে দীর্ঘদিন আমার গাড়ী চালিয়েছে। চোরের দশ দিন গৃহস্থের একদিন। সেই হিসেবে সে পূর্বেও কোন অপরাধ আমার গাড়ী নিয়ে সংঘটিত করেছে কিনা আমার জানা নাই।
কিন্তু তার সাহস দেখলে অবাক হই। আমার গাড়ী সে নিজে ড্রাইভার হয়ে কিভাবে আরেকজনকে আমার গাড়ী চালাতে দেয় এবং মাদকের ব্যবসা করে। আমি নিজে তার বাড়ীতে খোজ নিয়ে দেখেছি, সে বহল তবিয়তে নিজ এলাকায় অবস্থান করে আছে। সে আমার গাড়ীর এতবড় ক্ষতি করেছে তার কোন প্রতিক্রিয়া নেই, এমনকি আমার মোবাইল ফোনও ধরে না।
তার ব্যবহৃত মোবাইল বর্তমানে বন্ধ করে রেখেছে। এই বিষয় নিয়ে আমি উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। যাহার নং- ৮১০, তাং- ১০/১২/২০২০ ইং। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগীতায় আমার গাড়ীটি ফেরৎ পেতে চাই।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply