শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জ দৃষ্টিনন্দন কৃষ্ণচূড়ার ফুলে লালে লাল

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৫৫ Time View

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ :

 

চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম রঙে সেজেছে যেন গোপালগঞ্জের প্রকৃতি। গ্রীষ্মের রোদ্দুর উত্তাপ গায়ে মেখে রঙিন করেছে শহর ও গ্রামের প্রকৃতিকে । কবির ভাষায় বলতে ইচ্ছে হয় আজ, কৃষ্ণচূড়ার আবির নিয়ে আকাশ খেলে হোলি, কেউ জানে না সে কোন কথা , মন-কে আমি বলি। প্রখর দাবদাহে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ, ঠিক তখনি প্রকৃতিকে রাঙ্গিয়ে দিতে নিজের সবটুকু রং ছড়িয়ে পাপড়ি মেলেছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে নতুন প্রাণ।

 

এ সময় প্রেমিক-প্রেমিকা তাই গেয়ে ওঠে, তুমি আমার আলোর নেশা বিভোর ভোরময়, কৃষ্ণচূড়া তুমি আমার প্রেমের পরিচয়। বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত এই ফুল ফোটে আমাদের দেশে গ্রীষ্ম কালে। কৃষ্ণচূড়ার পাতা হয় উজ্জ্বল সবুজ। প্রজাতিভেদে এই ফুল লাল, কমলা ও হলুদ হয়ে থাকে । গ্রামের মানুষ কৃষ্ণচূড়াকে নানা রোগের ঔষধ হিসাবেও ব্যবহার করে থাকে । কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উপলব্ধির জন্য স্কুল, কলেজ, মন্দির, মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তার ধারে ও বাড়ির আঙ্গিনায় এই গাছ লাগানো হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর-খামার বাড়ি, গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক সমির কুমার গোস্বামী বলেন অর্থনৈতিক দিক থেকে কৃষ্ণচূড়া গাছ তেমন লাভজনক নয়, তবে দ্রত বেড়ে উঠা এ গাছে প্রচুর পরিমানে জ্বালানী হয়। শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ হিসাবে এর কদর প্রচুর। এর বীজ থেকে আঠা তৈরি করা হয় । ঔষধও হয়ে থাকে। অধিক বৃষ্টিতে ঝরে যায় দৃষ্টিনন্দন কৃষ্ণচূড়া।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়