নার্গিস আক্তার :
চোরের দশ দিন গৃহস্তের একদিন। অবশেষে লুচ্চামি করতে গিয়ে মুখোশ উন্মোচন হলে আতোয়ার খানের। গোপালগঞ্জ নিজড়ার মধ্যপাড়া এলাকার আতোয়ার খান ওরফে আতু (৭০) দশ বছরের মেয়েকে ৫ টাকার মজার লোভ দেখিয়ে কৌশলে দোকানের মধ্যে নিয়ে মুরাদ শেখের ছোট মেয়ে রিয়াকে কু-প্রস্তাব দেয় এবং বলে আমি যা চাইবো তাই দিবা।
ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিলে রিয়া চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে বিষয়টি মেয়ের মা শুনলে ঘটনাস্থল থেকে মেয়ে রিয়াকে বাসায় নিয়ে আসলে রিয়া কান্নাকাটি করে দোকানের মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে তা বললে, ঘটনাটি আশেপাশে জানাজানি হলে, ঘটনাস্থলে বিভিন্ন সাংবাদিকরা আসে। সাংবাদিকদেরকে লুচ্চা আতোয়ার খান ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। আতোয়ার খানের স্ত্রী সেলিনা বেগম রিয়াদের বাসায় গিয়ে সকলের কাছে ক্ষমা চায় এবং সবাইকে জানায় রিয়ার বিয়ের সব খরচ আমরা দেবো।
এ বিষয়ে সংবাদের প্রতিবেদক স্থানীয় মেম্বার তোহমদ খায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মসজিদের রাস্তার উপর আতোয়ারের দোকান থাকায় রাস্তা বড় করার জন্য দোকান সরানোর উদ্দেশ্যে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কু-চক্রী মহল। মেম্বার আরো জানায়, এই ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। এরকম ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি গোপালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানে। সে রিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে রিয়া এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানায়। মেম্বার আরো জানায়, আতোয়ার বর্তমান চেয়ারম্যান ধলু মিনার ঘনিষ্ঠ লোক। বিষয়টি নিয়ে গোপনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, আতোয়ারের নিকট আত্মীয় মেয়ের জামাই নুরুজ্জামান শেখ সহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন বিত্তশালী হওয়ার কারণে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতিপূর্বে আতোয়ার আগেও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। কোন বাচ্চা ছেলে বা মেয়ে তার দোকানে আসলে আদর করার ছলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত বুলিয়ে দেয়। ভুক্তভোগী রিয়াদের পরিবারে একটি কথাবার্তার ভিডিও রেকর্ড গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে আসলে বিষয়টি খোলাসা হয়। লোকলজ্জা এবং নিরাপত্তার ভয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার আতোয়ার গংদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে কিনা বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply