রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বহুল প্রচারিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্বনামধন্য সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সাথে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সৌজন্য সাক্ষাৎকার। ফুল ও ছবির অ্যালবাম উপহার পেয়ে তাসমিমা হোসেন অত্যন্ত খুশি হোন। এসময় উভয় পত্রিকার অনেক সাংবাদিক ও কলাকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। সমসাময়িক দেশের রাজনীতি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ছবি- প্রাণের বাংলাদেশ। পূবাইল প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের কারনে গ্যাস সংকটে বৈধ গ্রাহকরা নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ বাহিনীর প্রধান মোশারফ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী ২৪ হাজার টাকা ঘোষনার দাবিতে র‍্যালি ও সমাবেশ গাজীপুরে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণ  গুলশান-বনানীতে স্পা সিন্ডিকেটের পক্ষ নিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশে কারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নজরদারির লক্ষ্যে নব উদ্যোগ তজুমদ্দিন থানার চৌকস পুলিশ অফিসার ওসি মুরাদের তাহিদুল ইসলাম ঝন্টু জনগণের সমর্থন নিয়ে খালিশপুর ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হতে চায় অবশেষে সাংবাদিক লোকমান হোসেন ও রুহুল আমীন হাওলাদারের সৃষ্ট মামলা নিষ্পত্তি হলো রোয়েদাদ নামায়

গোপালপুর-ভূঞাপুরে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দৌঁড়ে ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু এগিয়ে

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৭ Time View

 

 

 

আ: রশিদ তালুকদার, টাঙ্গাইল :

 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল ২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লড়াইয়ে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। দলটির একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে মাঠে নেমেছে। মনোনয়ন পেতে দলের নীতিনির্ধারনীদের দৃষ্টি আর্কষণে জোড় লবিং শুরু করেছেন তাঁরা। তবে ইতিমধ্যে সর্ব মহলে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে ইউনুছ ইসলাম তালুকদার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি নিবেদিতপ্রাণ মানুষ। টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের নিকট ঠান্ডু ‘ভাই’ হিসেবে পরিচিত। দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে সে এমপি নির্বাচিত হবে এবং দল আরও সু-সংগঠিত হবে। নেতাকর্মীদের এ বিশ্বাসই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু এগিয়ে রয়েছে।

গোপালপুর ও ভূঞাপুরে তার অবস্থান এখন শক্ত। জনশ্রুতি আছে ‘ইউনুছ ইসলাম তালুকদার না থাকলে ভরসা পাই, ইউনুছ ইসলাম তালুকদার থাকলে সুযোগ নাই।’ আওয়ামী লীগের অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে ইউনুছ ইসলাম তালুকদার এরকমই ভীতির কারণ। গোপালপুর- ভূঞাপুরের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুড়ে দেখা যায়, ইউনুছ ইসলাম তালুকদার সর্বমহলে জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। সারা জীবনের সততা, নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতাই তাকে রাজনীতিতে এ সফলতা এনে দিয়েছে। সৎ মানুষ হিসেবে তিনি এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন। একারণে তাঁকে আধুনিক গোপালপুর-ভূঞাপুরের উন্নয়নের প্রাণপুরুষ হিসেবে দেখতে চান সর্বস্তরের এলাকাবাসী। ইতিপূর্বে টানা ৩ বার গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যার নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে তিনি ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন। ফলে এ আসন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তার শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে তাঁকে ছাড়া কোন পরিক্ষিত জনপ্রতিনিধি নেই। তাঁরা তিন সহোদর দেশের সুনামধন্য কোম্পানি নাফিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এর পরিচালক। তাদের মাধ্যমে এলাকার মানুষ উপকিত হচ্ছেন। একারণে মনোনয়ন পেতে ইউনুছ ইসলাম তালুকদারের জন্য সহজ হবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার কাহেতা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী তালুকদার পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।তার পিতার নাম মোকছেদ আলী তালুকদার। মাতা খোদেজা বেগম। ইউনুছ ইসলাম তালুকদার বি.এস.এস (অনার্স) এম.এস.এস(মাস্টার্স) রাষ্ট্র বিজ্ঞান,ঢাকা । ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পযন্ত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিঃ সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ।২০০৯ সাল হতে অদ্যবদি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনিত পর পর ৩ বার গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ।তিনি একজন সফল চেয়ারম্যান হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা এম.এ দর্শন এম.বিএ.উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক,সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোঃলিঃ।

ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ছাত্র জীবনে ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য ছাত্র লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।তিনি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাস ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক,কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন দাবী আদায়ের আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন । ১৯৯১ সাল থেকে অদ্যবদি গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ।১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদ করেছেন। মূলত ছাত্র জীবন থেকেই তিনি গণমানুষের বাঁচার দাবির প্রতি অটল থেকেছেন। সমাজ কল্যাণ মূলক কর্মকান্ডে সক্রিয় থেকেছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু এর আগে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি। এবার আটঘাট বেধে মাঠে নেমেছেন- দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেবেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগে তার অবদান ঈর্ষান্বিত। গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়, ঝাওয়াইল ও ধোপাকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয় তিনি নিজস্ব অর্থায়নে জমি কিনে নির্মাণ করেছেন। এছাড়া গোপালপুরের চরসোনামুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চরমোহাইল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা, লক্ষ্মীপুর শেখ হাসিনা, চাটুতিয়া শেখ রেহানা ও আজগড়ায় শেখ রাসেলের নামে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি গোপালপুর-ভূঞাপুরকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে ১২ দফা ফিরিস্তি নিয়ে জনসাধারণের মনযোগ আকর্ষনের চেষ্টা করছেন। এরমধ্যে এ দুই উপজেলাকে জ্ঞানের নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, দুই উপজেলায় দুইটি আইটি পার্ক স্থাপন, প্রতিটি গ্রামে কৃষি ক্লাব স্থাপন, শিশুপার্ক, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, চরাঞ্চলের মানুষকে আধুনিকতায় নিয়ে আসা, সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদকমুক্ত উপজেলা গঠন করা ইত্যাদি রয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন ছাড়াও বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মাঠ পর্যায়ের বহু নেতা-কর্মী তাঁর হয়ে কাজ করছেন। জানা গেছে গোপালপুর ও ভূঞাপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেছেন। এ সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁর পক্ষে জনমত সৃষ্টি ও বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সফলতা তুলে ধরেছেন। তিনি বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, ক্রিড়া-সাংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদানের মধ্যদিয়ে সারা গোপালপুর ও ভূঞাপুরে নিজের অবস্থান তুলে ধরছেন। তিনি বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসহ পাড়া মহল্লায় তাঁর ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পোষ্টার লাগিয়েছেন।

সরেজমিন গিয়ে এলাকা বাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তিনি যে পরিমান গণসংযোগ করেছেন তাঁর সমকক্ষ সম্ভাব্য প্রার্থীদের আর কেউ করতে পারেননি। ইউনুছ ইসলাম তালুকদারের গণসংযোগে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দুই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা কর্মীরা সংগঠিত হচ্ছে ইউনুছ ইসলাম তালুকদারের পক্ষে। অবিরাম চলছে চা-ষ্টল ও জনসমাগম স্থলে ইউনুছ ইসলাম তালুকদারের পক্ষে প্রচারণা। নেতা কর্মীদের পাশাপাশি মাঠ ঘাটে সর্বত্র সাধারণ মানুষের মুখে এখন ইউনুছ ইসলাম তালুকদারকে ঘিরেই চলছে আলোচনা। তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন সে এলাকার মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ভির করছে।

আগামী সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ইউনুছ ইসলাম বলেন, দলীয় কোন্দল গোপালপুর ও ভূঞাপুর আওয়ামী লীগের রন্ধে রন্ধে প্রবেশ করায় এক ধরণের স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল দলীয় কর্মকান্ডে। কোন্দল জ্বরে ভুগছে নেতাকর্মীরা। এ অবস্থায় এ দুই উপজেলার আওয়ামী লীগকে বাঁচানোর জন্য আগামী নির্বাচনে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী। গোপালপুরের ও ভূঞাপুরের সন্তান হিসেবে সর্বস্থরের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আমার প্রিয় জন্মভূমি গোপালপুর-ভূঞাপুর বাসীর সুখ-দুঃখে পাশে থাকতে চাই। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের স্বার্থে জনগণের ম্যান্ডেট প্রয়োজন। তাছাড়া গণমানুষের সুখ-দুঃখের কথা জাতীয় সংসদে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরার জন্য জনগণের রায়ে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চাই। গোপালপুর-ভূঞাপুর বাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। প্রতিটি মানুষ আমার প্রিয়। গোপালপুর-ভূঞাপুরের সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা পেলে বাকী জীবন আমি তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব ইনশাল্লাহ্। আশা করি গণমানুষ আমাকে সে সুযোগ দিবেন।

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়