শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নীলফামারীতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন ঢাকাসহ তাপপ্রবাহ বইছে ৬০ জেলায় সোনারগাঁয়ে ৭টি রেষ্টুরেন্টসহ দুই হাজার অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন ১ জনকে আটক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ছে ১১৮৯ কোটি টাকা দাম কমবে ইন্টারনেটের ১৬১ টাকা কমলো ১২ কেজি এলপিজির দাম মেলান্দহের আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্র! উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ রেললাইন বস্তি অপরাধ মাদকের অভয়ারণ্য গুলশান-বনানীর বিস্তৃত এলাকার একচ্ছত্র মাদক সম্রাট হুমায়ুন কবির গাজী ক্ষমতার জোরে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে; থানায় অভিযোগ

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব, সেন্টমার্টিন ছাড়ছেন লোকজন

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩
  • ১৩ Time View

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়তে শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। আজ শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা দ্বীপ ছাড়তে শুরু করেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আশ্রয় নেন দ্বীপের পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা সংকেত জারি হওয়ার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে টেকনাফে চলে এসেছে পাঁচ শতাধিক মানুষ। আমি নিজেও টেকনাফে অবস্থান করছি। সার্ভিস বোট, ফিশিং বোটসহ বিভিন্ন নৌযানের মাধ্যমে দ্বীপের বাসিন্দারা নিরাপদে চলে এসেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে সকাল থেকে কিছু মানুষ দ্বীপ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। দ্বীপের মানুষ যেন সুস্থভাবে টেকনাফ পৌঁছাতে পারে আমরা সে দিকে খেয়াল রাখছি।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘মোখা’ আসছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কারণ, সেন্টমার্টিনে নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র। দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। খাদ্য গুদাম নেই। চিকিৎসাসেবা নেই। সী অ্যাম্বুলেন্স নেই। আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম নেই। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনিক তৎপরতা নেই। তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ নিজে ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বীপ ছেড়ে নিরাপদ স্থলে ছুটে যাচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন বলছে, দুর্যোগে স্থানীয়দের জন্য উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ জোন হিসেবে সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনীসহ বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিক্যাল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে হোটেল-মোটেলসহ অর্ধশতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হটলাইন খোলা হয়েছে। বিশেষ করে দুই দ্বীপের (সেন্টমার্টিন ও শাহপরী) বাসিন্দাদের সচেতনতার পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আগে থেকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

এ দিকে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়