মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলবে একটি ট্রেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে জুনাইদ মনিরকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী ঘাটাইলে কৃষি জমিতে বন বিভাগের গাছের চারা রোপণ, বিপাকে এলাকাবাসী মাদক ও চোরাই মোবাইলসহ গ্রেপ্তার একজন  ইবির মেগা প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রমান মেলেনি আক্তার ফার্নিচারের বিরুদ্ধে নীলফামারীতে আসাদুজ্জামান নূর এমপির সাথে নাসিব নীলফামারীর শুভেচ্ছা বিনিময় মাদারগঞ্জে বাচ্চু চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা বাদল এর মা আর নেই স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হলো তজুমদ্দিনে শাহে আলম মডেল কলেজে গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বেহাল অবস্থা, কর্তৃপক্ষের চোখে কাঠের চশমা সাতক্ষীরায় শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন

চট্টগ্রামে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে নির্বাচনী পরীক্ষা: ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৪৫ Time View

আরফিন আরিফ, চট্টগ্রাম::

প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে সরকার কঠোর থাকলেও এ বিষয়ে কর্ণপাত করছে না বন্দর  নগরীর অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করার জন্য সরকার প্রতি বছর যেখানে নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করছে, সেখানে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন ছাত্রদের প্রশ্ন ফাঁস চর্চা করানোর কাজে ব্যস্ত। বিভিন্ন স্কুলের নিয়মিত পরীক্ষার প্রশ্নের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অসচেতনতা লক্ষ করা যায়। এমনকি এবার এসএসসি নির্বাচনী পরিক্ষার প্রশ্নের বিষয়েও উদাসিনতা দেখিয়েছে  চট্টগ্রাম শহরের  রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়। বাজারের নিম্ন মানের প্রশ্ন স্বল্প মূল্যে কিনে ২০১৮ সালের পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
যেকোন পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরির  বিষয়ে বোর্ড কর্তৃক কিছু নির্দেশনা থাকলেও সেগুলোর তোয়াক্কা করছেনা রেলওয়ে পাবলিক হাই স্কুল। নির্বাচনি পরীক্ষার প্রশ্নের বিষয়ে বোর্ডের কঠিন নির্দেশনা থাকলেও তার কোন গুরুত্ব দেয়নি বিদ্যালয়টি। বাজারে ছড়িয়ে থাকা প্রশ্ন সংগ্রহ করে নির্বাচনী পরীক্ষা আয়োজন কতটা নিরাপদ তা বিবেচনায় আনেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে নির্বাচনী পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্ন ছাত্ররা বিভিন্ন সুত্র ধরে খুব সহজে ফাঁস করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
বিদ্যালযটির এবারের  এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষার  গণিত, পদার্থ, রসায়ন, হিসাব বিজ্ঞানসহ আরো অনেক বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়। প্রত্যেকটা পরীক্ষার প্রশ্ন বিদ্যালয়ের রুটিনের আগের দিন ছাত্ররা ফেইসবুক এবং মেসিঞ্জারে শেয়ার করতে ব্যস্ত হয়ে পরে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ইয়াকুবীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।  বেশ কয়েকবার যোগাযোগের পর প্রথমে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করতে চাইলেও পরে সুনির্দিষ্ট তথ্য উপস্থাপন করলে বিষয়টি স্বীকার করতে বাধ্য হন। তবে তিনি প্রশ্ন ফাঁসের জন্য বিদ্যালয়ের বিগত প্রধান শিক্ষকে দায়ী করেন।  তার ভাষ্য মতে এসব কিছু কারসাজির জন্য সাবেক প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন তালুকদার দায়ী।
সদ্য দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পাওয়া বিদ্যালয়টির  সাবেক প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন তালুকদারের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন। তার দাবী, বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ইয়াকুবী এবং শিক্ষিকা শাহিনা ম্যাডাম এসবের জন্য দায়ী, তিনি আরো অভিযোগ করেন, উক্ত দুই শিক্ষক তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলতে চাইেেল সে জানায়, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি আমাদের শিক্ষকরা অবগত থাকা সত্বেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশ্ন ফাঁসের কারণে ভালো ছাত্ররা পিছিয়ে পড়ছে। এতে আমরা হতাশ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়