বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে স্কুল ছাত্র খুনের ঘটনায় তিন সংস্থার জোরালো তদন্তে পাঁচ জন গ্রেফতার

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ৩৩ Time View

আকাশ ইকবাল, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান হত্যার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে তিন সংস্থা। এই ঘটনায় গত বুধবার থেকে তিন সংস্থা- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), নগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং চকবাজার ও কোতোয়ালী থানার পুলিশ ঘাতকদের গ্রেফতারে একযোগে অনুস্থান করছিলো। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত পাঁচ জন হলেন- মহিম, সাব্বির, মুনতাসির, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ ও আরমান। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা আদনান খুনের সঙ্গে জড়িত আসামিদের ফাঁসির দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে ব্যানার, পেস্টুন ও হাতে লেখা পোস্টার ছিল। হাতে লেখা পোস্টারে লেখা ছিল “জাস্টিস ফর আদনান”, ব্যানারে লেখা ছিল “আদনান খুনিদের ফাঁসি চাই”। এই সময় শিক্ষার্থীদের অনেক উত্তেজিত দেখা যায়।
মানববন্ধনে এক কলেজিয়েট স্কুলের নমব শ্রেণির ছাত্র হৃদয় বলেন, “আদনান ছিল আমাদের বন্ধু। সে খুব মেধাবী ছাত্র ছিলো। আমাদের বন্ধুকে যারা খুন করেছে তাদের ফাঁসি দাবি করছি সরকারের কাছে।” আরও একজন ছাত্র মোন্তাসির বলেন, “আদনান খুনিদের ফাঁসি না দিলে আমরা আবারও কর্মসূচীতে নামবো। রাজপথে নামবো”।
পুলিশ সূত্রে জানান যায়, আদনান খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আরমান ছাড়া বাকি সবাই হাজেরা তুজ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আরমান এসএসসি পরীক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে মুনতাসিরকে নগরীর বাদুরতলা এবং বাকি চারজনকে ফটিকছড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মুস্তাহিদ হোসেন বলেন, ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করে বলেন, “কলেজিয়েট স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে।”
এদিকে স্থানীয়রা জানান, হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত চন্দনপুরার সাব্বিরের গডফাদার রউফের বিরুদ্ধে খুন ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে। জামালখান এলাকায় ‘মেজ্জান হাইলে আইয়্যু’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় বসে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে রউফের অনুসারীরা। ওই রেস্তোরাঁরা মাত্র ২০ গজের মধ্যে মঙ্গলবার আদনান খুনের ঘটনাটি ঘটে।
এই তথ্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রচার হলে, কয়েকজন সচেতন নাগরিক মনে করেন, “ওই গডফাদার রউফকে আটক করা হলে হয়তো হত্যাকান্ডের বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যেতে পারে”!

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়