ক্রীড়া ডেস্কঃ
জীবনযুদ্ধে হার মানলেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে মারা গেলেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। বাসাতেই ছিলেন তিনি, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার একসময়ের সতীর্থ মোহাম্মদ শরীফ প্রাণের বাংলাদেশকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
২০১৯ সালের মার্চে ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে রুবেলের। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ নিউরো সার্জন এলভিন হংয়ের তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রোপচার হয় তার। ২০২০ সালে সুস্থ, স্বাভাবিক হয়ে মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু নভেম্বরে আবার অসুস্থ হন। ২০২১ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমআরআই করার পর দেখা গেছে, পুরোনো টিউমারটি আবার নতুন করে বাড়ছিল।
তারপর থেকে আবার শুরু হয়েছে কেমোথেরাপি। সব মিলিয়ে ২৪টি কেমোথেরাপি নিয়েছেন। গত ১১ অক্টোবর ইউনাইটেড হাসপাতালেই সর্বশেষ কেমোথেরাপি নিয়েছেন তিনি। এরপর অবস্থার অবনতি হলে গত ১৪ মার্চ আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। প্রায় এক মাস ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সম্প্রতি বাসায় নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন মোশাররফ রুবেল।
২০০৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক মোশাররফ হোসেন রুবেলের। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে খেলে ১ উইকেট পান। দল থেকে অতি দ্রুত বাদ পড়েন। এরপর তাকে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে নিয়েছিল দল। কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেয়ে আবার বাদ পড়েন।
২০১৬ সালে আফগানিস্তান সিরিজে তাকে দলে নেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আট বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমে ৩ উইকেট পান। দলকে জেতাতে বড় ভূমিকাও রাখেন তিনি। কিন্তু পরের ম্যাচে উইকেট না পাওয়ায় রুবেল আবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। ফলে তার ক্যারিয়ার সেখানেই থেমে যায়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে নিয়মিত খেলেছেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। দুবার ওয়ালটনকে বিসিএলের শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্লু অ্যাওয়ার্ড জেতা জাতীয় দলের ক্রিকেটারও ছিলেন মোশাররফ রুবেল।