শাহ আল ইমরান, চুয়াডাঙ্গাঃ
চুয়াডাঙ্গার দীননাথপুরের মোঃ আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ সোহাগ মিয়ার সাথে হাওলাদ টাকা নেওয়ার চুক্তিপত্র দলিল করে প্রতারক বাচ্চু মিয়া জমি কিনে দিবে বলে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয় ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ১৮ মাসের মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৮ বছর গত হলেও এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করে নাই। টাকার পরিবর্তে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জমি দিচ্ছি দিবো বলে বছরের পর বছর সময় পার করে আসছে বাচ্চু মিয়া।
চুয়াডাঙ্গা জেলার দীননাথপুর গ্রামের ইয়াকুবের ছেলে মোঃ বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও মামলা হয়েছে। তার নামে অর্থ আত্মসাৎ প্রতারণা করে জমি হাতিয়ে নেওয়া সহ রয়েছে সব অভিনব গল্প কাহিনী। নিজ এলাকা সহ আশেপাশের গ্রামের মানুষের সাথে বিভিন্ন কৌশল করে সে প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাকাল ডাংগা ইউনিয়নের নয়ন মিয়ার এক বিঘা জমি ক্রয় করতে গিয়ে সুকৌশলে দশ বিঘা জমি রেজিষ্ট্রি করে নেয় বলে জানা যায়। এভাবে অনেক অসহায় মানুষের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে সিনেমার গ্রাম্য চরিত্রের ভিলেনের মতো সহায় সম্বল সব হাতিয়ে নিয়ে অনেক পরিবারকে রাস্তায় বসিয়ে এক সময়ের মামা বাড়ীর রাখাল প্রতারক বাচ্চু মিয়া পঞ্চাশ বিঘা সম্পত্তির মালিক হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করলে বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসে একেরপর এক প্রতারণার গল্প।
এ বিষয় নিয়ে মোঃ সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে ঢাকা বিজ্ঞ জজ আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করে। মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় আছে। অন্যদিকে চুয়াডাংগায় বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতারণার মামলা হয়। মামলা নং- ৯৮২/১৮। এভাবে শুধু সোহাগ মিয়া নয় অসংখ্য মানুষের নিকট হইতে প্রতারক বাচ্চু মিয়া বিভিন্ন কৌশলে অর্থ সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। জানা যায়, বাচ্চু মিয়া নিজের মেয়েকে টোপ বানিয়ে প্রথমে মেয়েকে বিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে মেয়ের জামাইয়ের নিকট হইতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আবার মেয়েকে দিয়ে সাংসারিক ঝামেলা সৃষ্টি করে ডিভোর্স ঘটিয়ে টাকা আত্মসাৎ’ই প্রতারক বাচ্চুর অন্যতম ব্যবসা।
প্রতারক বাচ্চুর আরোও বিস্তারিত থলের বিড়াল উন্মোচিত সংবাদ দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকায়। খবরের পিছনের খবর জানতে একজন প্রতারক বাচ্চু মিয়ার অভিনব প্রতারণার গল্পে কেপে উঠবে চুয়াডাংগা সহ সারাদেশের বিবেকবান মানুষ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply