ডেস্ক রিপোর্ট:
করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির চাপে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হতে থাকায় এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় আগামী ছয় মাসে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৬,০০০ শিশু মারা যেতে পারে বলে ইউনিসেফ জানিয়েছে। এর পরোক্ষ প্রভাবে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২৮ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
বুধবার শিশুদের উন্নতি ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনিসেফ এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, পুষ্টিহীনতার ভয়াবহ রূপ পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে।
ইউনিসেফ জানায়, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং নিয়মিত পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার ফলে আগামী ছয় মাসে প্রতিরোধযোগ্য রোগে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন অতিরিক্ত ৬ হাজার শিশু মারা যেতে পারে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ ২০১৯ সালের মার্চ মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের আঞ্চলিক প্রতিনিধি টমো হোজুমি এবিষয়ে বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্বাস্থ্যসেবার পরিসর হ্রাস পেলে প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য পরিস্থিতি থেকেই বিপুল সংখ্যক শিশুর মৃত্যু হতে পারে। শিশু ও মায়েদের জীবন রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে ইউনিসেফ।
এবিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে আগামী ৬ মাসে বিশ্বজুড়ে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ১১৮টি দেশের ১২ লাখ শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
বর্তমানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মহামারি মোকাবিলায় মনোযোগী হওয়ায় মা, নবজাতক ও শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা অব্যাহত রাখতে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে ইউনিসেফ। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে নতুন করে দুই হাজার ডাক্তার ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে এই খাতে আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply