বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহীদুল হক জঙ্গিবাদ দমনে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূলে সামাজিক ও রাজনৈতিক উভয় অঙ্গীকারেরই প্রয়োজন রয়েছে। কারণ একটিকে বাদ দিলে অপরটি কাজ করবে না।
এ কে এম শহীদুল হক আজ সোমবার রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (ডিএফপি) মিলনায়তনে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সামাজিক অঙ্গীকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি, স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলা এবং ব্র্যাক এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
পুলিশ প্রধান বলেন, হলি আর্টিজান হামলার পর পুলিশ জঙ্গি বিরোধী ২৩টি অপারেশন পরিচালনা করেছে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের অনবদ্য অবদান রয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, নির্মূল হয়নি।
শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাউন্টার নেরেটিভ অর্থ্যাৎ কোরআন হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরতে হবে। তিনি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জঙ্গি বিরোধী আন্দোলনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার আহ্বান জানান।
বির্তকের বিষয়কে সময়োপযোগি আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে জঙ্গিবাদের কুফল তুলে ধরতে হবে।
বিতর্কের মডারেটর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে গিয়ে যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি বা তাদের পরিবার হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ফাইনালে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ করিমউদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও নকলা শেরপুরের নয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় বিতর্কের পক্ষ দল করিমউদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। রানার আপ হয়েছে বিপক্ষ দল নয়াবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছেন করিমউদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দলনেতা মোসাম্মৎ আফিয়া জাহান।
প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
এবারের ৮ম জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘বিতর্ক বিকাশ’ এ দেশের সুবিধা বঞ্চিত সাড়ে তিন হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply