প্রাণের বাংলাদেশ ডেস্ক :
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে ভালবাসলেই স্রষ্টার নৈকট্য লাভ সম্ভব। স্বার্থপর পৃথিবীতে নিজস্বার্থ ছেড়ে নিঃস্বার্থ হওয়া সাদা মনের মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন। কিন্ত এই কঠিন ব্যস্ততায়ও কিছু মানুষ থাকে যাঁদের জন্যই বোধকরি আমরা এগিয়ে যাবার আলো দেখতে পাই। তেমনি একজন আলোকিত মানুষ কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন।
৪৫ নং ওয়ার্ডের জনগণের সেবায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সোপানকে সামনে রেখে অসহায় মানুষের সহযোগীতার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাউন্সিলর মোঃ জয়নাল আবেদীনের প্রশংসা এখন সর্বমহলে। লকডাউন থেকে অদ্যবধি যারা বৃহৎ আকারে নিজেদের দয়ার হৃদয়কে বিস্তৃত করে মুক্ত হস্তে দানের হাতকে প্রসারিত করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম কাউন্সিলর মোঃ জয়নাল আবেদীন একজন। এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর মোঃ জয়নাল আবেদীন দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে জানান, আমার হৃদয় গরীব মানুষের হাহাকারে কাঁদে। আমার পিতাও ছিলেন একজন দানশীল ব্যক্তি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব হাবিব হাসান যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন আমি যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করি। আমি কাউন্সিলর মোঃ জয়নাল আবেদীন জাতির জনকের স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে যারা দিন আনে দিন খায় অসহায় নিপীড়িত আমার এলাকায় বসবাসরত সকল মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। বৃষ্টিপাতে আমার এলাকার রাস্তাঘাট অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টি পরবর্তী সময়ে দ্রুততার সাথে সকল রাস্তা যেন মেরামত করা যায় সে ব্যাপারে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যে সমস্ত রাস্তায় বড় বড় খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে ইতিমধ্যে ইট, বালি, মাটি ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী আমার এলাকার সকল রাস্তাঘাটকে উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। সকল কাজ চলমান অবস্থায় আছে। কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন সম্পর্কে এলাকার মানুষের বক্তব্য তাকে সবসময় আমাদের বিপদে আপদে পাশে পাওয়া যায়।
তিনি একজন সহজ সরল সবুজ মনের মানুষ। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র আদর্শ হৃদয়ে লালন করে তাঁর যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রধারাকে তরান্বিত করার লক্ষ্যে একটি সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুঁকে লালন করে রাজনীতির পথে ছুটে চলেছেন সবসময়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পক্ষ থেতে ৪৫ নং ওয়ার্ড থেকে ব্যাপক ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে দলের সম্মানকে অক্ষুন্ন রেখেছেন। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সাথে রয়েছে তার সম্পৃক্ততা।
তিনি একজন সৎ আওয়ামীলীগ নেতা হিসাবে বেশ পরিচিত। কিছু না লিখলে বা না দাগ দিলে যেমন সাদা কাগজের মূল্য থাকে না, ঠিক তেমনি ব্যক্তির জীবনে মনুষ্যত্ব কাজ বা গুন প্রকাশ না হলে প্রকৃত মানুষ তাকে বলে কি? আমরা এই কলমে এমন এক মানুষকে তুলে ধরতে চাই যার হৃদয়, কাজ, চেহারা, ব্যক্তিত্ব অতুলনীয়। হৃদয়টা হচ্ছে সহজ-সরল, স্নেহ-ভালোববাসায় পূর্ণ। স্বার্থ ছাড়া অতি পরিশ্রমী, অসহায়কে সাহায্য দানই হচ্ছে তাঁর কাজ। আর যদি চেহারার কথা বলি, তাহলে বলবো শত লোকের মাঝেও আমি তাঁর মিল পাইনি। সাধারণ পোশাক-আশাক পড়েই তিনি একজন সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছেন বলেই হয়তো বা আপনারা জানেন না একটি স্বর্গ সুখের রাজ্য আছে। সবাই এখানে সুখী। কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন শুধু পরিবারের চোখেই নয়, আরো অনেকের চোখেই তিনি এক সাদা মনের মানুষ।
অনেক আগে থেকেই তার মনের ইচ্ছা ছিল সমাজের জন্য বা দেশের উপকারের জন্য কিছু করতে। তার একটাই বিশ্বাস ছিল যে সৃৃষ্টিকর্তা সব জানেন, তিনি কাউকে নিরাশ করেন না। আর এই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে চলছেন তিনি। কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনের সততার জন্য উত্তরখান ৪৫ নং ওয়ার্ড হতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সেরা ওয়ার্ড।
আগামী নির্বাচনে কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনের বিজয় নিশ্চিত এলাকার মানুষের ভালোবাসায়, তার সততায়, তার নম্র ও বিনয়ী ব্যবহারের মধ্য দিয়ে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply