হাবিব সরকার স্বাধীনঃ
বনানী ১৯ নং ওয়ার্ড স্যাটেলাইট এলাকায় গর্জে ওঠা হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নামধারী ড্রাইভার জামাল। জামালের বিরুদ্ধে জোয়ার ভোট কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে জামালের বিরুদ্ধে। স্থানীয় রাজনীতি ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করলে জানা যায়, রাজনীতির মাঠে অংশগ্রহণ করার পর থেকেই জামাল ড্রাইভার আলোচিত সমালোচিত।
স্যাটেলাইট এলাকায় গ্রুপিং কিশোর গ্যাং এর সকল কিছু ড্রাইভার জামাল নিজে প্ল্যান নিয়ন্ত্রণ করছেন জামাল ড্রাইভার । এলাকার সর্বস্তরের মানুষ ড্রাইভারের নাম জামাল জানলেও ছদ্মনাম পরিচিত জামাল মাস্টার।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, জামাল ড্রাইভারের কুকর্মের আমলনামা এখানেই শেষ নয়। মাদকের আলোড়ন ফেন্সিডিল মামলা থেকে বাঁচার জন্যই নিজেকে মাস্টার জামাল বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন এই প্রতারক ব্যক্তি। পরিচয়পত্র জামাল মিয়া থাকলেও কিভাবে তিনি মাস্টার জামাল হয়েছে তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি তিনি।
মাস্টার জামাল মূলত একটি স্কুল গার্ড চাকরি করে বলা জানা যায়। সিকিউরিটি কিভাবে নিজেকে একজন কি ভাবে মাস্টার ?
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন একজন গার্ড হয়ে নিজেকে কিভাবে মাস্টার বলে পরিচয় দিচ্ছি তিনি? এলাকা মানুষের মুখে এমন শত শত প্রশ্ন জাগে ? মাস্টার জামাল এর নানান ফন্দি ফিকির আওয়ামী লীগের একভুক্তভোগী নেতা তার বিরুদ্ধে জানান, জামিনের কথা বলে আমার কাছ থেকে স্ট্যাম্প স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারণা করেছে জামাল। ৫৬ লক্ষ টাকা পাবে বলে আমার কাছে দাবি করেন মাস্টার জামাল। অথচ তার সাথে আমার কথা হয়েছে জামিনের বিষয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মাস্টার জামাল ও তার বাহিনী এতই বেপোরোয়া কমিটিকে কেন্দ্র করে মৌখিক ক্ষমতা পেয়েছে এই ক্ষমতায় থাকার পর থেকে তার ক্ষমতার দম্ভ বেড়ে গেছে।
বনানী ১৯ নং ওয়ার্ড স্যাটেলাইট এলাকার যুবলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে গোপনে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মাস্টার জামালের বিরুদ্ধে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে মাস্টার জামাল একটি মাস্টার প্ল্যান করে কিভাবে আওয়ামী লীগের নেত্রীকে নাজেহাল করার জন্য বেপোরোয়া ভাবে একটি চক্র গড়ে তোলেন। সেখানে তার ব্যবসা-বাণিজ্য দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় মাস্টার প্ল্যান উপাধি পাওয়া মাস্টার জামাল। সেখানেও ব্যর্থ হয় মাস্টার জামাল।
জামালের অপকর্মের খতিয়ান ও আমলনামা একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বছর দুয়েক আগে প্রকাশ করেছিল অপরাধ বিচিত্রায়। আর তখন প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে জামালের পক্ষে সাফাই গেয়েছিল কিছু নামধারী নেতা। কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সত্য বেশি দিন চাপা দিয়ে রাখা যায় না।
শেষ পর্যন্ত ফাঁস হয়ে পড়লো প্রতারক আসল রূপ। এখন তিনি আওয়ামী লীগের পদবী নেতা। আওয়ামী লীগের কর্মী নেত্রীদের সাথে হট্টগোল লাগিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীদের দুর্নাম করে জামাল এখন আওয়ামী লীগ নেতা। জামালের মত এমন হাইব্রিড অনেক নেতা কর্মী রয়েছেন দলের থেকে দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি নজরে না আনলে জামালের মত আরো হাইব্রিড গর্জে উঠবে। তাই অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এলাকাবাসীর জোর দাবি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply