এন এম নুরুল ইসলাম,
বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা পরিষদের সদস্য’র বাড়ীতে প্রায় ২৭ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি হওয়ার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ বলে অভিযোগ করেছেন জেলা পরিষদের সদস্য সুরাইয়া জেসমিন বিউটি। এ নিয়ে জনসাধারণের মনে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। প্রকাশ পাচ্ছে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের দ্বারা নিরীহ মানুষকে হয়রানীর রহস্য।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার(১৫ ডিসেম্বর) রাত ১১টার সময় ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের সদস্য সুরাইয়া জেসমিন বিউটি ও তার স্বামী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুর রহমান বাদল পার্শ্ববতী গ্রামে ইসলামী ওয়াজ মাহফিলের দাওয়াত পালনে যায়। ওই দিন রাত ১টায় বাড়ীতে ফেরার পর দেখে তাদের অনুপস্থিতির বাড়ীর বাহিরের গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ঘরের বিভিন্ন ড্রয়ারের তালা ফাটিয়ে ব্যবসার ২৭ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা কে বা কাহার চুরি করে নিয়ে গেছে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুর রহমান বাদল অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকালে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মৌখিক ভাবে অবগত করার পরও কোন পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেনি। সন্ধ্যায় আমি, স্থানীয় আওয়ামীলীগের সভাপতি সহিদুর রহমান ও ধনতলা ইউপি চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জী নুপুর মামলা দায়ের জন্য গেলে পরদিন বিকালে আসেন বলেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি। পরদিন বিজয় দিবস উদযাপনের পর সন্ধ্যায় থানায় গেলেও আসামীর নাম না দিতে পারায় মামলার বিপরীতে সাধারণ ডাইরী নেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
জেলা পরিষদের সদস্য সুরাইয়া জেসমিন বিউটি বলেন, থানায় অবগত করেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমি ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের স্বরনাপন্ন হয়। পরে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ও এসআই আবু বক্কর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, একজন জেলা পরিষদের সদস্যকে যদি পুলিশি সহায়তার জন্য এমন হয়রানী হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষকে কতটা হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে?
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই আবু বক্কর মুঠোফোন জানান, আমি অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় এসেছি, আপনি ওসির সাথে কথা বলেন।
অন্যদিকে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান অভিযোগ প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার বিষয় এজাহার প্রদান করেনি। এজাহার দিলে মামলা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply