জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ০৩ মে
জয়পুরহাট শহরের মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় মৃত সন্তানকে পেটের ভিতরে কিছু অংশ রেখে অস্ত্রপাচার শেষ করেছে এমন অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের । এ ঘটনায় ক্লিনিকের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে রোগী সুস্থ্য হওয়া পর্যন্ত ব্যয়ভারের শর্তে ছেড়ে দেয় পুলিশ ।
রোগীর স্বজনরা জানায়, গেল ২৯ এপ্রিল জয়পুরহাট সদর উপজেলার তেঘড়া দন্দপানী গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে ৮ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা শেষে অস্ত্রপাচার করেন ডাক্তার। কয়েকদিন পর ২মে রোগীর পেট ফুলে ওঠলে পুনরায় পরীক্ষা করে দেখা যায় মৃত সন্তানের কিছু অংশ ছাড়া পরে অস্ত্রপচার করার সময়। এরপর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে জোর করে রিলিজ দিতে চাইলে বৃহস্পতিবার সকালে রোগীর স্বজনরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে ক্লিনিকের ম্যানেজার আবুল কালামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের শর্তে ম্যানেজারকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।
মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগী ব্যাপারে কোন প্রকার অবহেলা ভুল চিকিৎসা হয়নি। যা কিছু চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে মেডিক্যালের নিয়ম অনুসারে। রোগী এখন সুস্থ্য আছে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করা হবে। কিছু স্বার্থন্বেশী মহল আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে এসব করছে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, মডার্ণ ক্লিনিকে সকালে হইচই এর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোগীর সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নেওয়ায় ম্যানেজারকে দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Leave a Reply