রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বহুল প্রচারিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার স্বনামধন্য সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সাথে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সৌজন্য সাক্ষাৎকার। ফুল ও ছবির অ্যালবাম উপহার পেয়ে তাসমিমা হোসেন অত্যন্ত খুশি হোন। এসময় উভয় পত্রিকার অনেক সাংবাদিক ও কলাকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। সমসাময়িক দেশের রাজনীতি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ছবি- প্রাণের বাংলাদেশ। পূবাইল প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের কারনে গ্যাস সংকটে বৈধ গ্রাহকরা নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ বাহিনীর প্রধান মোশারফ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী ২৪ হাজার টাকা ঘোষনার দাবিতে র‍্যালি ও সমাবেশ গাজীপুরে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণ  গুলশান-বনানীতে স্পা সিন্ডিকেটের পক্ষ নিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশে কারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নজরদারির লক্ষ্যে নব উদ্যোগ তজুমদ্দিন থানার চৌকস পুলিশ অফিসার ওসি মুরাদের তাহিদুল ইসলাম ঝন্টু জনগণের সমর্থন নিয়ে খালিশপুর ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হতে চায় অবশেষে সাংবাদিক লোকমান হোসেন ও রুহুল আমীন হাওলাদারের সৃষ্ট মামলা নিষ্পত্তি হলো রোয়েদাদ নামায়

ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় মৌসুমের শুরুতেই হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় আর শিলা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, চাষিরা হতাশ !

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯
  • ২৩ Time View

জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ

 

ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় মৌসুমের শুরুতেই কালবৈশাখী ঝড়ে আঘাত হেনেছে। জেলার প্রতিটি উপজেলার গ্রাম এলাকায় এর প্রভাব পড়েছে। আধা ঘন্টার এই তান্ডবে মাঠের ফসলসহ ইটভাটা মালিকদের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তবে এরই মধ্যে কৃষি বিভাগ জেলা ও উপজেলার এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষিতে ক্ষতির পরিমান নির্ধারনের কাজ শুরু করেছে।

 

গত মঙ্গলবার জেলা সদরের কাশিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, বেশ কয়েকদিন রাতে কিছুটা শীত আনুভব করা যাচ্ছে। আবার দিনের বেলা প্রচন্ড তাপ পড়ছে। ঐ দিন উত্তর আকাশে মেঘ দেখতে পাই। এরকিছু ক্ষন পরই দমকা বাতাসের সাথে হালকা পানি। পরে শিল পড়তে শুরু করে। তিনি আরো জানান, গতদিনের এই ঝড় বৃষ্টি এবং শিলের আঘাতে যে সকল জমির ধানের শীষ বের হয়েছে, তাদের ফসলের ক্ষতির সম্মাখিন হতে হবে। কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি জহিরুল ইসলাম বলেন, এলাকার চাষিরা জমি থেকে ভুট্টা কাটাতে শুরু করেছে। কোন কোন চাষি জমি থেকে ভুট্টা বাড়িতে রেখেছে, আবার কিছু চাষি জমি থেকে ভুট্টা কেটে বাড়িতে নিতে পারেনি। মাঠেই তাদের ভুট্টা ভিজে গেছে। যাদের ভুট্টা পানিতে ভিজে গেছে তাদের কিছুটা হলেও দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড়ের আম চাষি ফিরোজ হোসেন বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন আম বাগান চাষের সাথে জড়িত। নিজের বাগানসহ লিজ নিয়েও তিনি আম বাগান ব্যবসা করেন। এ বছরও প্রায় ৩৮-৪০ বিঘা আম বাগান রয়েছে। বছরের শুরুতে বাগানে মুকুলে ভারে গিয়েছিল। তবে এ বছর আওহাওয়া খুব একটা সুবিধা যাবে, বলে মনে হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন, যে সকল গাছে আমের মুকুল থেকে ছোট গুটি শুরু হয়েছে। হঠাৎ শিলা আর বৃষ্টি এবং ঝড়ে আমের গুটি ঝড়ে গেছে। তবে তাদের ক্ষতি হয়েছে। আর এই ক্ষতির অবস্থা কয়েকদিন পরে ভালোভাবে দেখা যাবে। হরিনাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা গ্রামের পান চাষি কওছার আলি বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকেই, এবার যেভাবে শিলা, বৃষ্টি আর ঝড় হল তা, দীর্ঘদিন দেখা যায়নি। তবে শিল, বৃষ্টি হলেও ঝড়ের মাত্রাছিল কম। যে কারনে পান বরজ গুলো খুব একটা ক্ষতি হয়নি। যে সকল জমিতে পান আছে তাদের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তবে এবার খুবই কম চাষিরই পান আছে। ঝিনাইদহ উপজেলার বেড়াশুলা গ্রামের মেম্বর গোলাম রসুল বলেন, রোববার বিকালে দীর্ঘদিন পর, যা মৌসুমের শুরুতেই ঝড়, শিলা বৃষ্টি হল। এই শিল, ঝড় আর বৃষ্টিতে যে সকল চাষির ধানে শীষ বের হয়েছে, তাদের ফলনে একটু সমস্যা হতে পারে। সার্বিক দিকমিলে চাষিদের বেশ ভালোই ক্ষতি হয়েছে।

 

মধুহাটি বকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মেসবাহ আহমেদ বলেন, হালকা ঝড়, সেই সাথে বৃষ্টি এবং শিল পড়েছে ঠিক। তবে বকে খোঁজ নিয়ে চাষিদের সাথে কথা বলে জেনেছি, দৃশ্যমান ক্ষতি তেমন হয়নি। তবে যাদের ধানের জমির ধানে শীষ বের হয়ে গেছে এবং আম বাগানে ক্ষতির পরিমান কিছুটা বেশি হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের পরিচালন জিএম আব্দুর রউফ বলেন, আমাদের কৃষি বিভাগের জেলা, উপজেলা এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তার মাধ্যমে গত দিনের ঝড়, বৃষ্টি এবং শিলে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে। তা নির্ধারণ করতে কাজ চলছে। তবে যে সকল এলাকায় চাষিদের ধানের শীষ বের হয়ে গেছে এবং আমের গুটি বা দানা হয়েছে। সেই এলাকার চাষিদের ক্ষতি বেশি হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হলেই, চুড়ান্ত ভাবে জানা যাবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়