আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহ জেলায় চলতি বোরো সংগ্রহকালে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় ৪২৮টি চালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলায় ৪৮৬টি চাল কল আছে। এর মধ্যে ৫৮টি চাল কল সরকারের চাল ক্রয় কে›ন্দ্র লোতে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে। বাকি ৪২৮টি চালকল কোনো চুক্তি করেনি। অন্যান্য বছর সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে চালের দাম কম থাকায় চাল কল মালিকেরা চাল সরবরাহের চুক্তি করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তো। এবার ক্রয় কেন্দ্র গুলোতে তাদের দেখা যাচ্ছে না । মিলের লাইসেন্স রক্ষার জন্য কেউ কেউ চুক্তি করেছে। এবার চালের সংগ্রহ মূল্য ধার্য করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা। জেলার কোথাও ৩৪ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে না। চালের দাম কেজিতে দেড় দুই টাকা কমার পর স্থির আছে। আর্দ্রতাযুক্ত মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৭ ও ৩৮ টাকা কেজি দরে। আর ক্রয় কেন্দ্রে গুলোতে আদ্রতা যুক্ত চাল কেনা হয় না। আদ্রতা মুক্ত প্রতি কেজি মোটা চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজি প্রতি ৫- ৬ টাকা করে লোকসান হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মিল মালিক জানান। লাইসেন্স বাঁচাতে ১০ টন চাল সরবরাহের চুক্তি করেছেন। এতে তার প্রায় লাখ টাকা লোকসান হবে আরো জানান। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন জানান, এবার ঝিনাইদহ জেলায় ১০ হাজার ৬৮৮ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। যে সকল চালকল মালিক সরকারের সাথে চাল সরবরাহের চুক্তি করেননি, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply