আব্দুল খালেক সুমন :
গাজীপুরের টঙ্গী ৪৬ নং ওয়ার্ড হিমারদীঘি, হাউজ বিল্ডিং এলাকায় বড় ভাই আঃ মজিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি আপন ছোট ভাই মোঃ আনোয়ার হোসেনের জমি আত্মসাৎ এর জন্য বড় ভাই আঃ মজিদ মিয়া নিজের মাথায় ব্লেড দিয়ে রক্তক্ষরণ করে মিথ্যে মামলা সাজালেন ছোট ভাই আনোয়ার সহ তিনজনের বিরুদ্ধে।
গত ১৪/০৩/২০২৩, ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকার সময় মোঃ আঃ মজিদ মিয়া (৬০), পিতা-মৃত-চাঁন মিয়া, সাং হিমারদীঘি, হাউজ বিল্ডিং, থানা টঙ্গী, জেলা গাজীপুর, বাদী হয়ে। বিবাদী ১। মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪৫) পিতা-মৃত চাঁন মিয়া, ২। সুলতান বেগম (৪০), স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন, ৩। সিরাজ (৪৫), পিতা-মৃত কালাই বেপারী, সাং শৈলারগাতী, থানা-টঙ্গী পূর্ব জিএমপি, গাজীপুরগণ দের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি অভিযোগ দাখিল করেন টঙ্গী পূর্ব থানায়।
উক্ত অভিযোগে বাদী আঃ মজিদ মিয়া উল্লেখ করে বলেন যে, ১। নং বিবাদী সম্পর্কে আমার আপন ছোট ভাই, ২। নং বিবাদী আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী হয়। আমার বাসায় উক্ত ০১নং বিবাদী আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে চতুর্থ তলা একটি বিল্ডিং নির্মাণ করে, বিল্ডিং নির্মাণের পূর্বে বিবাদী আমাকে শর্ত দেয় যে আমার উক্ত ১নং বিবাদীর যৌথ জায়গায় একটি বিল্ডিং নির্মাণ করিবে, সেই বিল্ডিং এ আমাকে দ্বিতীয় তলা সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট আমাকে বুঝাইয়া দিবে মর্মে রেজিস্ট্রি হয়। বিল্ডিং নির্মাণ করার পর উক্ত বিবাদী আমাকে দ্বিতীয় তলার দুটি রুম আমাকে বুঝাইয়া দিলেও বাকি দুটি রুম সে আমাকে না বুঝাইয়া আজ না কাল দেয় দিচ্ছি কোরিয়া সময় অতিবাহিত করিতে থাকে।
দ্বিতীয় তালার দুটি ইউনিটের কাজ চলমান থাকায় আমার বড় ছেলে হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম (৩৫) উক্ত বিবাদী চতুর্থ তলার বাসায় বসবাস করে। কাজ শেষ হলে আমার ছেলে দ্বিতীয় তলায় চলিয়া আসবে মর্মে উক্ত বিবাদী সহিত কথাবার্তা হয়। সেই মতে আমার বড় ছেলে চতুর্থ তলার বাসায় বসবাস করে। প্রায় দুই মাস পূর্বে উক্ত বিবাদী আমার দ্বিতীয় তলা দুটি রুমের পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া দেয়। পরবর্তীতে উক্ত বিবাদী কে বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আমাকে গালিগালাজ সহ আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
গত ১৪/০৩/২০২৩, ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০৯.০০ ঘটনার সময় উক্ত বিবাদী আমাদের বসবাসের থাকার রুমের পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া দেয়।পরে বিষয়টি আমি ০১নং বিবাদীকে এইসব করার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে উক্ত বিবাদীগণ আমাকে গালিগালাজ করিতে থাকিলে আমি ইহার ন্যায় সঙ্গত কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করিলে উক্ত বিবাদীগণ আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া নীলাফুলা জখম করে। আমার ডাক চিংকারে আমার ছোট ছেলে হারুন অর রশিদ (২৫)আগাইয়া আসিলে তাহাকে উক্ত বিবাদীগণ এলোপাথাড়ি মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
১নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড ধারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার ডান পাশে বারি মারিয়া গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে উক্ত বিবাদীগণ আমাদের বসত ঘরে প্রবেশ অনধিকার প্রবেশ করিয়া বাসার বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করিয়া আনুমান ৮৫,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। ও ০২নং বিবাদী আমার বাসা থেকে নগত ২৫,০০০/- টাকা চুরি করিয়া নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে উক্ত বিবাদীগণ আমাদের খুন জখম সহ যেকোনো ধরনের ক্ষতিসাধন করিবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে বলে টঙ্গী পূর্ব থানা জিএসপি গাজীপুর এ বিবাদী মোঃ আঃ মজিদ মিয়া অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে ০১নং বিবাদী মোঃ আনোয়ার হোসেন, পিতা-মৃত চাঁন মিয়া, সাং হিমারদীঘি, হাউজ বিল্ডিং, থানা টঙ্গী পূর্ব, জিএসপি গাজীপুর, মহানগর এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ দায়কারি মোঃ আঃ মজিদ মিয়া (৬০), আমার আপন বড় ভাই। আমার বড় ভাই আঃ মজিদ মিয়া গত ১৪/০৩/২০২৩, ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০৯.০০ ঘটিকার সময় টঙ্গী পূর্ব থানায় (৩ জননের নামে) একটি অভিযোগ দায়ের করেন যাহা সম্পন্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। যার প্রমাণ ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও গণকর্মীদের মাধ্যমে ভাইরাল হয়, উক্ত ভিডিওটিতে আমার বড় ভাই আঃ মজিদ মিয়া সে নিজে স্বীকার করছেন যে এই অভিযোগটি সম্পন্ন মিথ্যে ও বানোয়াট এবং সে নিজে ও তার বড় ছেলে হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম (৩৫), পিতা মোঃ আঃ মজিদ মিয়া, তারা নিজেরাই মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে থানায় আমাদের তিনজনের নামে মিথ্যে অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমার বড় ভাই আঃ মজিদ মিয়া ছাড়া অন্যান্য ভাই ও বোনদের সাথে আমার কোন বিরোধ নাই। আমার মার ঘর ভাড়া বাবদ আমার কাছে ৪৬ মাসের টাকা খরচ বাদে জমা আছে এবং আমার মার ১ কাঠা জমি, সেই জমিতে ৩ টি আধা পাকা রুম, গ্যাসের ১ টি চুলা, বিদ্যুতের ১ টি মিটার ও সাপ্লাই পানি লাইন আছে। আমার মার কাছ থেকে উক্ত জমির প্রাপ্ত অংশ ও ওয়ারিশ হিসেবে অন্যান্য আমি যা পাই তাহা আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে আমার নিকট থেকে ভাড়ার ৪৬ মাসের খরচ বাদে বাকি জমা টাকা বুঝিয়া নিলে বড় ভাই আঃ মজিদ মিয়া ছাড়া আশা করি অন্যান্য ভাই-বোনদের সাথে আমার কোন দ্বন্দ্ব থাকিবে না।
তিনি আরো বলেন, আমার ওয়ারিশের জায়গার মধ্যে বিল্ডিং নির্মাণ করার সময় আমার বড় ভাই আঃ মজিদ মিয়ার ওয়ারিশের জায়গা মিলিয়ে একটি ৮তলা বিল্ডিং নির্মাণ করার প্রস্তাব দেয়, তার সাথে মৌখিক শর্ত থাকে যে ৮তলা বিল্ডিং সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হলে তাকে লিফট, গ্রেস, এবং ছাদ সহ অন্যান্য সুবিধা ছাড়া ৪টি ফ্লাট বুঝিয়ে দেওয়া হবে, কিন্তু বর্তমানে ৪তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় তাকে ২তলায় ২টি ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বেশ কিছুদিন শর্ত মোতাবেক চললেও ইদানিং আমার বাড়িটি দখল করার জন্য পাঁয়তারা করছে, এখানেই থেমে থাকিনি আমার বাড়িতে নিজের নাম ব্যবহার করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে এলাকায় প্রচারণা করছে এটা নাকি আমার বড় ভাই আঃ মজিদ মিয়ার বাড়ি। আমার বড় ভাইয়ের বড় ছেলে হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম আমার বাড়ির চারতলা ফ্লাটে ভাড়া নিয়ে বিগত ১৪ মাস যাবত বাসা ভাড়া এবং অন্যান্য কিছুই প্রদান করে না, বাসা ভাড়া চাইলে আমাকে রীতিমতো হুমকি দেয় যাহার প্রমাণ হিসেবে ভিডিও ধারণ করা ও বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় ভাড়াটিয়ার ফরম পূরণ করে আমার বাসায় উঠে সেই ফর্মও আছে আমার কাছে বলে জানান ০১ নং বিবাদী।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply