বশির আলম, টঙ্গী :
গাজীপুরে টঙ্গীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে আটক ও হয়রানি এবং পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দাউদ আহমদ নামে এক ব্যবসায়ী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ১২ নভেম্বর আমার সহকারী কাশেমের বাড়ীতে তার সঙ্গে জনৈক আলী হোসেন এর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আলী হোসেন টঙ্গী পূর্ব থানায় আবুল কাশের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে যান। পরে আমি তখন টঙ্গী পূর্ব থানায় গেলে ওসির নির্দেশে এসআই আমার কাজী অফিসের সমস্ত বালাম বই ও কাগজপত্র নিয়ে যান।
এ সময় ওসি আমাকে এই মামলা থেকে বাঁচতে হলে দশ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকার করি। এর কিছুক্ষনের মধ্যে আমাকে ও আমার সহকারী কাশেমকে জড়িয়ে মারামারি, চাদাবাজি ও চুরির মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায়। মামলার বাদী কোর্টে দাড়িয়ে আমার পক্ষে জানায়, আসামীকে আমি চিনিনা। পরক্ষনে ওই দিনই আদালত আমাকে জামিন দেয় । পরে থানায় গিয়ে আমার বালাম বই চাইলে ওসি তাল-বাহানা করে। এক পর্যায়ে আমি নিরুপায় হয়ে উকিল নোটিশ পাঠাই । পরে থানা পুলিশ তরিঘরি করে একটি জব্দ তালিকা তৈরি করে কোর্টে জমা দেন। পরবর্তীতে আদালত মামলার আইওকে স্ব-শরীরে সাত দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ প্রদান করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোর্টে উপস্থিত হইয়া ব্যাখ্যা দেন যে, আমি নবিন কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি ছাড়া এই বালাম বই নেওয়া যায় না।
এ আইন আমার জানাছিল না, আদালত নবিন কর্মকর্তা হিসেবে এ রকম ভুল যেন আর না হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান পূর্বক ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান করেন, এবং কারণ দর্শানোর দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এসআই নজরুল ইসলাম আবারো ওসির নির্দেশে কাজী অফিস থেকে বেশকিছু বালাম বই থানায় নিয়ে যান এবং কাজী অফিসের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য হুমকি প্রদান করেন, এমনকি আমি নাকি অফিসে মাদকদ্রব্য ব্যবসা করি বলে অপ-প্রচার চালান।
বর্তমানে আমি আমার পরিবারের সকল লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় আছি, যেকোনো সময় আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে পারে। আমি এই ঘটনায় পুলিশে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply