আলামিন খান, টাংগাইল ঃ টাঙ্গাইলে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও তারা কর্ণপাত না করে বরং বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর শনিবার টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ধুলটিয়া গ্রামের মোঃ আলমগীরের স্ত্রী রোজিনা বেগম সন্তান জন্মদানের জন্য টাঙ্গাইল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তী হন। সন্তান জন্মদানে দেহের স্বাভাবিক সক্ষমতা না থাকায় রোগীকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে বাচ্চা (ছেলে) প্রসব করানো হয়। বাচ্চা প্রসবের পর শিশুটির ঠান্ডা জনিত সমস্যা থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ দিন থাকার পর শিশুটি সুস্থ হওয়ায় ১৯ নভেম্বর সোমবার দুপুরে পুনরায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বলে। এবং সেই সাথে একটি ব্যবস্থা পত্র দিয়ে দেন। ব্যবস্থাপত্রে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে ঝবৎড়ুরফ ২৫০ সম ইনজেকশন দুই বেলা পুশ করার কথা লিখে দেয়া হয়। এবং ইনজেকশনটি মাংসে পুশ করার জন্য বাংলায় স্পষ্ট করে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সোমবার রাত ১০ টার দিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স সেলিনা বেগম নিজে ইনজেকশন পুশ না করে তার বদলে অশিক্ষিত অদক্ষ ডায়নার্স মর্জিনাকে দিয়ে ইনজেকশনটি কেনোলার মাধ্যমে ব্রেইনে পুশ করান। যার ফলে কোমলমতির শিশুটি কয়েকবার হেচকি দিয়ে মারা যায়। এমন অভিযোগ শিশুটির বাবা মোঃ আলমগীর হোসেনের।
ঘটনাস্থলে থাকা ও প্রত্যক্ষদর্শী শিশুটির দাদি সূর্য বানু ও নানি রাজেদা বেগম জানান, ডায়নার্স মর্জিনাকে কেনোলার মাধ্যমে ইনজেকশন পুশ করার ব্যাপারে বারবার নিষেধ করা হলেও তিনি আমাদের কথা শোনেন নি। বরং আমরা নিষধ করায় আমাদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণ করেছে। ঘটনার আগ পর্যন্তও শিশুটি সুস্থ ছিলো। বারবার ওর মায়ের বুকের দুধ পান করছিল। কিন্তু ইনজেকশন পুশ করার সাথে সাথে কয়েকবার হেচকি দেয়। আমরা তাৎক্ষনিক বুঝতে পারেনি। তার কয়েক ঘন্টা পর যখন ওর মা ওকে বুকের দুধ পান করানোর জন্য ঘুম থেকে উঠে তখন শিশুটির কোন সাড়া না পেয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরতদের বিষয়টি জানানো হয়। তারা এসে শিুশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply