আ. রশিদ তালুকদার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার(১৫ সেপ্টেম্বর) চেয়ারম্যান পদে ১, সদস্য পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ১, সদস্য পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিক একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক এবং সদস্য পদের মধুপুর আসনে শফি উদ্দিন একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দৃশ্যত ওই দুই পদে একক প্রার্থী হলেও তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলার সুযোগ নেই। প্রত্যাহার ও যাচাই-বাছাই শেষে একক প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও জানান, ১২টি সাধারণ সদস্য পদের মধ্যে ১১টি ও চারটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের বিপরীতে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকায় টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের নির্বাচন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তারা হচ্ছেন- জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আলমগীর খান মেনু ও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহমদ মজিদ সুমন। এরমধ্যে ফজলুর রহমান খান ফারুক আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পান। পরে আলমগীর খান মেনু দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে দিনভর বৈঠক শেষে আহমদ মজিদ সুমন মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পরে তিনি মায়ের হাত দিয়ে মনোনয়নপত্রটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুকের হাতে তুলে দেন।
প্রকাশ, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন ও ১২ উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ১২ জন এবং চারটি সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে এক হাজার ৭২২ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আগামী ১৭ অক্টোবর স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply