নীলফামারী প্রতিনিধি :
ডিমলা উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ইরি ধানের চারা এখন সবুজের সমারোহ। দিগন্ত জুড়ে সবুজ আর সবুজ। এ যেন নব বধূ গর্ভ ধারনের ন্যায়। কে যেন ধানের চারার গায়ে সবুজ রং তুলির ছোঁয়া রেখে দিয়েছেন। এস ১টি এস২টি ক্যানেল গুলোতে স্বল্প খরচ পানি পাওয়ায় ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা বুক বেঁধেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১১হাজার ২৬০ শ’ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।১১হাজার ২৫৪শত হেক্টর।
এ ব্যাপারে খালিশা চাপানী গ্রামের কৃষক সুলতানুর আলম বলেন,‘অন্যান্য বারের চেয়ে এবার আমরা অনেক বেশি বোরো ধান চাষ করেছি। এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।’
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী গ্রামের কৃষক আইজার রহমান বলেন,‘জমিতে সময় মতো পানি দেওয়ায় ধান সবুজ হয়েছে। এবার ঝড় বৃষ্টি না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আমরা অনেক উপকৃত হব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, ‘অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার ডিমলা উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোথাও মাজড়া পোকার আক্রমণ লক্ষ করা যায়নি। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফারুক বলেন,‘ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষক যাতে লাভবান হয় সে জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা দেখা যাচ্ছে সেখানেই দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এ দিকে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর আওতায় টি২টি এস ১টি ক্যানেল গুলোতে পানি সেচের মাধ্যমে সুবিধাভোগী কৃষকদের ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফাউদদ্দৌলা, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,
ক্যানেলের পানি দ্বারা এই অঞ্চলের কৃষক ভাইদের অর্থের পরিমাণ সাশ্রই হচ্ছে।মাত্র ৩০০ শত টাকায় ১ বিঘা জমিতে পানিতে সুবিধা পাচ্ছে। দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সাইড ক্যানেল গুলো যুগপৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। সুবিধাভোগীদের উচিত, ক্যানেল গুলির প্রতি যত্ন নেয়া।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply