বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

ডেসকোর নতুন সংযোগে চরম দূর্নীতি, প্রিন্স, রিপন ও নাপিত মনির বাহিনীর হাতে মিরপুরের বিদ্যুৎ অফিস জিম্মি

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৮৮ Time View

আনিছ মাহমুদ লিমন ঃ- মিরপুরের বিদ্যুৎ অফিস ডেসকো কর্তৃক গ্রাহকগণ প্রতিনিয়ত অমানবিক হয়রানির শিকার হচ্ছে। ডেসকোর পিয়ন থেকে উর্ধতন কর্মকর্তাগণ গ্রাহকদের যে ভাবে হয়রানি করে থাকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা প্রত্যেকে গ্রাহকদেরকে সুকৌশলে ফাইলের জটিলতা দেখিয়ে কালক্ষেপন করে। তাদের মধ্যে কয়েকটি বিল্ডিং এর দুর্নীতির প্রমান রয়েছে। যেমন: নোয়াখালী টাওয়া, ১৩ নং মিরপুর বাদশা কমিউনিটি সেন্টার এর বিপরীতে,নোয়াখালী টাওয়ারের নীচ তলা আবাসিক ভবনে সম্পূর্ণ বানিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। বানিজ্যিক বন্ধের ব্যবস্থাপনাকে তোয়াক্কা না করে সেখানে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।৭৩৮,ইব্রাহীমপুর, মমতাজ বেগম বিল্ডিং এর সংযোগ প্রদানের মন্ত্রনালয়ের আদেশকে তোয়াক্কা না করে সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে যার স্মারক নং-ডেসকো/বিওবি বিভাগ(কাফরুল)প: প:/২০১৭/২০১২, ডেসকো থেকে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে তার স্মারক নং ২৭.০০.০০০০.০৫২.৩১.০১০.২০১৩-৪৫২ এবং রিপোর্টে অনেক ভূলভ্রান্তি লিখে এক লক্ষ টাকা ঘুষের দাবী জানানো হয়েছে। ১৩নং সেকশনের ৯নং রোডের ২৫ নং বাড়ীর সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে গ্রাহককে দীর্ঘ ছয়মাস হয়রানি করে নতুন সংযোগ স্থগিত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক এক্সচেঞ্জ জাহিদুল সাহেবের নিকট গেলে তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে এ্যাসিষ্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হাবিব সাহেবের নিকট প্রেরন করেন। হাবিব সাহেব গ্রাহককে কোন ব্যবস্থা না দিয়ে গ্রাহকের অন্যকোন সদস্যকে যোগাযোগ করার জন্য বলেন। রোড নং ২, বাড়ী নং ৭, মিরপুর-১০ এর মালিককের স্থাপনায় সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ ছয়মাস হয়রানি করার পর সংবাদিকদের ফোনের পরে তার স্থাপনায় সংযোগ দেওয়া হয়।উক্ত স্থাপনায় গ্রাহককে হয়রানি করার জন্য ৩/৪বার পত্র প্রদান করে,প্রতিবার রিভিজিট ফি ১০০০ টাকা করে নিয়ে অবশেষে সংবাদিকদের চাপের মুখে পরে এ্যাসিষ্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হাবিব ও এক্সচেঞ্জ জাহিদুল সাহেব সংযেগ দিতে বাধ্য হন। এ সমস্ত কার্মকান্ডের মূল হোতা সি বি এ নেতা রিপন সহযোগী মনির,ডেসকোর উর্ধতন কর্মকর্তা ও ডেসকোর প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি প্রিন্স ও তার সঙ্গিদের যোগসাজসে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মিরপুরের ডেসকো অফিস দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করে রেখেছে। তদন্তে জানা জানায়, সাগুপ্তা হাউজিং-এর যতগুরি অবৈধ সংযোগ রয়েছে সমস্ত সংযোগগুলি রিপন ও হেলপার নাপিত মনিরের পরিচালনায় পরিচালিত হয়। এছাড়া সাগুপ্তা হাউজিং এ যতগুলি বৈধ্য সংযোগ রয়েছে এ সমস্ত সংযোগ হেলপার নাপিত মনির ও সি বি এ নেতা রিপনকে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দিয়ে সংযোগ নিয়েছে। আরও জানা যায় ডেসকো সেন্টাল স্টোরের কতিপয় কর্মচারী নাপিত মনিরের সঙ্গবদ্ধ দলে জড়িত।২৩৬ উত্তর পীরের বাগ যেখানে প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মেসার্স লাবনী এন্টারপ্রাইজের মালিক প্রিন্সের অফিস তার আসপাশে যতগুলি অবৈধ সংযোগ রয়েছে তার পরিচালক প্রিন্স। সেই অবৈধ সংযোগ থেকে টাকা উত্তলন করে তার ম্যানেজার জাহিদ । প্রিন্সের ম্যানেজার জাহিদ প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রিন্সের ডেসকোর অফিসে বসে অফিস করেন এবং যত গুলি নতুন সংযোগ ফাইল আসে সেই সমস্ত ফাইলগুলি সামারি পাওয়ার দেখিয়ে সোলার সিস্টেম ও সাব স্টেশন বিক্রি করার জন্যে গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে । জানা যায়, বাংলাদেশে যতগুলি সোলার ইমপোর্টার রয়েছে তাদের বাতিল কৃত সোলার প্যানেল লডে ক্রয় করে এনে প্রিন্স,নাপিত মনির ও রিপন গ্রাহককে স্বল্পমূল্যে নিতে বাধ্য করে। কিছু কিছু জায়গায় দেখা যায়, নাপিত মনিরের কোম্পানি হাওলাদার ইঞ্জিনিয়ারিং ও লাবনী এন্টার প্রাইজ বেশির ভাগ সোলার সিস্টেম ভাড়াতে পরিচালনা করে। এ কাজে তাকে কেউ বাধা দিতে গেলে তাকে লাঞ্জিত হতে হয়। প্রিন্সের হাতে অনেক উর্ধতন কর্মকর্তা লাঞ্জনার শিকার হয়েছেন। জানা যায় জনৈক এক্সচেঞ্জ জাহিদুল সাহেবের নেতৃত্বে এই সমস্ত কর্মকান্ড সংঘটিত হয়। এছাড়া টিনসেড সেমিপাকা বিল্ডিং এ জোর জবস্থ সোলার সংযোগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গ্রাহককে বাধ্য করা হয়। সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় আবাসিক এলাকায় যেসব বিল্ডিং গুলিতে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব বিল্ডিং এর সংযোগ বিধি নিষেধ থাকলেও তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায় আবাসিক এলাকাতে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেই না। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায় বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় দোকান ও বানিজ্যিক কার্যক্রম রয়েছে, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ ও রয়েছে। এ ব্যাপারে ডেসকোর ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বললে তার সৎ উত্তর দিতে পারে নাই। সাধারণ গ্রাহককরা প্রতিনিয়ত হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে। সাধারণ গ্রাহককরা ফাইল জমা দিতে গেলে ওয়ান পয়েন্ট থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া ফাইল জমা নেওয়া হয় না এবং ফাইল জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে কাগজপত্রের বাহানা দেখিয়ে গ্রাহকদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গ্রাহক দিক দিশা না পেয়ে তখন উল্লেখিত দালাল ব্যক্তিদ্বয়ের খপ্পরে পড়ে ঘুষের রাস্তা বেঁেচ নিয়ে সংযোগের ব্যবস্থা করতে হয়। যাহা আইন বহির্ভূত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়