এস,এম,মিজানঃ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বরিশালের গৌরনদী উপজেলা এলাকার ২০ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। বৃষ্টি হলে পুরো মহাসড়ক জুড়ে কাঁদায় একাকার ও খরায় ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায়। ফলে নাকাল হচ্ছেন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
স’ানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস থেকে মহাসড়কের এসব ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ইট ও বালু দিয়ে নামেমাত্র জোড়াতালি দেয়া হলেও তা স্থায়ী হচ্ছেনা। মাঝে মধ্যে মহাসড়কের গর্ত মেরামত করা হলেও সামান্য বৃষ্টিতে সেগুলো উঠে পুরনো রূপে (খানাখন্দে) ফিরে আসে পুরো মহাসড়ক। এ সড়কের ঢালাই উঠে গেছে গত ৭/৮ মাস পূর্বে। এতে করে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনের প্রখর রোদে মহাসড়কের গৌরনদীর ভূরঘাটা থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত অংশে ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের ফুটপাত দিয়ে চলতে গিয়ে ধুলার জন্য নাক ও মুখ চেঁপে ধরে চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা, খাঞ্জাপুর, ইল্লা, বার্থী, তাঁরাকুপি, কটকস’ল, সুন্দরদী, কসবা, গৌরনদী, আশোকাঠী, কাছেমাবাদ, বেজহার, মাহিলাড়া, বাটাজোর এলাকায় ও উজিরপুর উপজেলার এলাকায় দেখা গেছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়তই যানবাহন বিকল হচ্ছে। যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও গন্তব্যে পৌঁছতে দ্বিগুণ সময় লাগছে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন জানান, মহাসড়কের বেহাল দশার কারণে ভারি যানবাহন চলাচল করার সময় প্রায়ই সড়কে গাড়ির চাকা দেবে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে সওজ বিভাগের অর্থায়নে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল সওজ বিভাগ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর ভূরঘাটা বাসষ্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটর মহাসড়কের দুই পাশে ৩ ফুট করে সম্প্রসারন (বর্ধিতকরন) ও সংস্কারের জন্য ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে কার্যাদেশ প্রদান করেন এম.এম বিল্ডার্স ও এম.এস.এ.এম.পিজে,ভি লিঃ নামের দু’টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২টি ১ নভেম্বর মাসে সড়কের দুই পাশে ৩ ফুট করে বর্ধিতকরণের কাজ শুরু করেন। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্প্রসারন ও সংস্কার কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২টি অর্ধেক কাজও এখনও শেষ করতে পারেনি। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরা উজিরপুরের জয়শ্রী থেকে গৌরনদীর ভুরঘাটা পর্যন্ত মহাসড়কের দুইপাশ খুরে নামেমাত্র কাজ করে ফেলে রাখা হয়। এরপর থেকেই অতিবর্ষণে পুরো মহাসড়ক জুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে এখন যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, বৃষ্টির কারণে বিটুমিন দিয়ে টেকসই সংস্কার করা যাচ্ছেনা। তবে প্রায় প্রতিদিনই সাময়িক মেরামত চলছে। পুরো রোদ পেলেই মহাসড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply