প্রানের বাংলাদেশ রিপোর্ট,ঢাকা:
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুখ আলম জানান, গত ২৫ এপ্রিল ভাটারা থানাধীন নর্দার একটি বাসায় সোহান হাওলাদার (১৮ মাস) নামের শিশুটির গায়ে গরম ডাল পড়ে। এতে তার শরীরের ১৬ ভাগ পুড়ে যায়। বৃহস্পতিবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর শিশুটির মরদেহ জরুরি বিভাগের হিমাগারে রাখা হয়।
এসআই ফারুখ বলেন, শিশুটির স্বজনরা থানায় জানালে ঢামেকে আসি। মরদেহ হিমাগার থেকে বের করে দেখি তার বাম পাশের গালে ক্ষত। ক্ষতস্থানটি ছিল রক্তাক্ত।
এসআই ফারুখ বলেন, সম্ভবত ফ্রিজের দরজা খোলা ছিলো। শিশুটির গাল সম্ভবত ইঁদুরে খেয়েছে। অব্যবস্থাপনার জন্যই এমনটি হয়েছে।
শিশুটির বাবার নাম সোহাগ হাওলাদার। তার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে।
শিশুটির চাচা সুজন হাওলাদার বলেন, ১৬ ভাগ পোড়া ক্ষত নিয়ে ঢামেকে সোহানকে ভর্তি করা হয়। মারা যাওয়ার পর তার মরদেহ হিমাগারে রেখে গেলাম। এখন তার গালে এতো বড় ক্ষত কেন? ওর গালে তো কোনো ক্ষত ছিল না!
ফ্রিজের মধ্যে ইঁদুর কীভাবে আসবে, সে নিয়ে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে উঠে নাান প্রশ্ন। তার ঘটনাস্থলে এসে হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি তদন্ত করে দেখছি কীভাবে ফ্রিজের মধ্যে ইঁদুর ঢুকে লাশ খেয়ে ফেলল।’
ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ রাখার ফ্রিজে পেছনের দিকে বড় একটি গর্ত দেখা গিয়েছে। ওই গর্ত দিয়ে বেজি বা ইঁদুর ঢুকে থাকতে পারে।
Leave a Reply