সোহাগ জোয়াদ্দার :
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লার নির্দেশে তিতাসে কর্মরত কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে টিম তৈরি করে তার অধীনে সকল এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিলেও চোরে শুনেনা ধর্মের কাহিনী। একদিকে লাইন কাটছে অন্যদিকে রাতের আঁধারে ছিচড়ে টেকনিশিয়ান দিয়ে অবৈধ লাইন পূর্ণ সংযোগ দিয়ে অবৈধ সংযোগকারীরা ভোগ করছে সরকারী সম্পদ। দেশ হারাচ্ছে রাজস্ব।
এরকম অবৈধ সংযোগের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা-১৮ আসন সহ আশেপাশের এলাকা। তার মধ্যে রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়া, দউড়, রাজাবাড়ী, বামনারটেক, নলভোগ, নয়ানগর, চন্ডলভোগ, বাউনিয়া, দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ, উত্তরখান, খিলক্ষেত, বাউনিয়া, কাওলা সহ সর্বত্র অবৈধ সংযোগে ছেয়ে গেছে। কিছু কিছু সংযোগ এক হাজার বারশ ফুট দূর থেকে পাইপ টেনে কমার্শিয়াল লাইনের মতো বড় বড় কারখানা চালাচ্ছে অবৈধ ভাবে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে স্থানীয় সরকার দলীয় লোকেরা।
এ যেন সরিষা ক্ষেতে ভুত। খোদ তিতাসের কিছু অবসর প্রাপ্ত এবং বহিস্কৃত সাবেক কর্মকর্তারাও এসবের সাথে জড়িত। একা তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ভালো হলেই চলবে না। সচেতনতা বৃদ্ধি করে একমাত্র প্রকৃত দেশপ্রেম জাগ্রত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুঁকে নিয়ে দেশের মানুষকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সোপানের দিকে দৃষ্টিপাত রেখে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেশের সম্পদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
অন্যদিকে সরকারকেও ভাবতে হবে নতুন ভাবে আবাসিক সংযোগ দিয়ে তিতাসের কার্যক্রমকে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট তৈরি করতে হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply