উত্তরা প্রতিনিধি :
উত্তরায় তিতাস ট্রান্সমিশন এন্ড গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর নির্দেশে তিতাসের নির্দিষ্ট কর্মকর্তারা অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করলে সেক্টর- ১১, রোড- ১৮, বাড়ী নং- ৭ এর মালিক পক্ষ যথাক্রমে দুদু মিয়া, মনির এবং এ রহমান তিতাসের কর্মকর্তাদেরকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দিবে বলে ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠলে পাল্টা জীবনের নিরাপত্তার কারণে তিতাস কর্মকর্তারা অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগকারী মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরী করার প্রস্তুতি নেয়।
ভুক্তভোগী তিতাস কর্মকর্তা দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে জানান, আমরা তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ মোল্লার নির্দেশে অফিসিয়াল অর্ডারে সম্পূর্ণ ঢাকা শহরে ৩০-৪০ টির অধিক টিম করে অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ সহ বকেয়া আদায়ের কাজ করে আসছি। প্রতিদিনের কাজের রুটিন মাফিক আমরা জানতে পারি উত্তরা ১১ নং সেক্টরের ১৮ নং রোডের ৭ নং বাসায় অবৈধ গ্যাসের লাইন সংযোগ দেওয়া আছে। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে লাইন গুলো একটির সাথে অন্যটি সংযোগ দিয়ে চোরাই ভাবে গ্যাস চালাচ্ছিল ঐ বাড়ীর মালিক পক্ষ এবং ফ্ল্যাট মালিকরা। আমরা লাইনটি তাৎক্ষণিক বিচ্ছিন্ন করি এবং গ্যাসের রাইজার জব্দ করি। তাদের কাছে জানতে চাই, আপনারা কেন চোরাই লাইন সংযোগ দিয়ে এভাবে গ্যাস জ্বালান।
আপনারা যেভাবে লাইন লাগিয়েছেন যেকোন সময় অগ্নি সংযোগ ঘটতে পারতো। তখন দুদু মিয়ার স্ত্রী আমাদেরকে জানায়, ফ্ল্যাট মালিক মনির এবং এ রহমান সাহেব তিন মাস পর পর তিতাসের কর্মকর্তাদেরকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতো। আমরা সাথে সাথে বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করি এবং তাদেরকে জানাই এখন তো আমরা চোরাই লাইন কেটে নিলাম। আপনারা যাদেরকে ঘুষ দিতেন তাদেরকে বলেন ঠেকাতে।
ভালো করে জেনে রাখবেন তিতাস কর্তৃপক্ষ কখনো মাসোয়ারা খায়না। যারা ঘুষ দেওয়ার নামে আপনাদের নিকট থেকে বছরের পর বছর পঞ্চাশ হাজার করে টাকা নিয়েছে, তারাই এসব টাকা তিতাসের নামে আত্মসাৎ করেছে। ঐ মুহুর্তে ফ্ল্যাটের আরেক মালিক এ রহমান (ডেপুটি সেক্রেটারী মিনিস্ট্রী অব পাবলিক) আমাদের কাছে আসে এবং তার ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে বলেন আমি তিতাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো।
এই ঘটনার পর ঐ বাড়ীর মালিক পক্ষ তিতাসে কর্মরত সাহসী একজন কর্মী সোহাগ জোয়াদ্দার যার নেতৃত্বে রাজধানীর উত্তরা সহ ঢাকায় শত শত অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং প্রাণনাশের হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়।
এ বিষয়টি তিতাস কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ঐ বাড়ী থেকে সম্পূর্ণ গ্যাস সংযোগটি সমূলে উৎপাঠন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানায়। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে ঐ বাড়ীর মালিকরা গ্যাস সিলিন্ডার এনে গ্যাসের লাইন সংযোগ করেছে বলে জানা যায়। এভাবে উত্তরা বেশ কিছু বাড়ীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
এসব বাড়ীর মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। এমনটাই জানিয়েছেন তিতাসের অনেক কর্মকর্তারা।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply