মনির হোসেন (শিশির) :
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাহসী সৈনিক, তারুণ্যের প্রতীক, গরীব অসহায় মানুষের আস্থা ও ভালবাসা, একজন উদার সাদা মনের মানুষ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তুরাগ থানা ছাত্রলীগ ও জনবান্ধব জননেতা জনাব এম. ফারুক হোসাইন বি.কম, সি.এ (এফ সি, সি সি) ।
বাবার হাত ধরে প্রথম ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী মিছিলে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৫ – ১৯৯৬ সালে বি এন পি সরকারের বিরোধী সকল আন্দোলনে অংশ গ্রহন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন , এবং ধীরে ধীরে এগিয়ে যান পরবর্তীতে ২০০২ সালে উত্তরা (বৃহত্তর) থানা ছাত্রলীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন । পরবর্তীতে ছাত্র রাজনীতিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে তরুনদের প্রাণের সংগঠন ০৫ ডিসেম্বর , ২০১০ সালে তুরাগ থানা ছাত্রলীগ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর তুরাগ থানার ছাত্রলীগ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অবদান রেখে রানাভোলা ইসলামাবাদ জামে মসজিদ তুরাগ, ঢাকা, এর সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছে। রাজনৈতিক পরিবারে তার জন্ম । বাবা একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তি ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিষ্ঠার সাথে হরিরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর ০৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
বাবা বর্তমানে গাজীপুর জেলা ট্রাক কাভার্ড শ্রমিক ইউনিয়ন এর শ্রমিকদের বিপুল ভোটে দুইবারের নির্বাচীত সাধারণ সম্পাদক।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে গোটা বিশ্বের মতো দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র, কুটিরশিল্পসহ অর্থনীতির সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ দফা নির্দেশনা মেনে আমার ৫৩ নং ওয়ার্ডে সাধারণ জনগনকে সচেতন করার জন্য মাস্ক থেকে শুরু করে ত্রানসামগ্রী চাল, ডাল, তৈল, চিনি, আলু ইত্যাদি সহ গরীব ও অসহায়দের মাঝে প্রতিটি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে এই ত্রানসামগ্রী তুলে দেন।
একজন রাজনৈতিক নেতা হয়েও সব শ্রেণির মানুষকে আপন করে নেয়ার গুণ রয়েছে তাঁর মধ্যে।তিঁনি সকলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন খোলা মনে। একজন সফল রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন তুরাগবাসীর কাছে।
এই রাজনৈতিক নেতা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন অসহায় সাধারন মানুষের সেবায়। যান্ত্রিক এ যুগে মানুষ বড়ই আত্মকেন্দ্রিক। নিজের জগত নিয়ে ব্যস্ত হওয়ায় অন্যকিছু নিয়ে ভাবার সময় কারোর নেই। মানুষ যেন ভুলে গেছে স্রষ্টার সৃষ্টির মধ্যেই সৃষ্টিকর্তা বিরাজমান। আর সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে ভালবাসলেই স্রষ্টার নৈকট্য লাভ সম্ভব। স্বার্থপর পৃথিবীতে নিজস্বার্থ ছেড়ে নিস্বার্থ হওয়া সাদা মনের মানুষ পাওয়া ভার। কিন্তু এই কঠিন ব্যস্তবতায়ও কিছু মানুষ থাকে যাঁদের জন্যই বোধকরি এগিয়ে যাবার আলো দেখতে পাই। তেমনি একজন আলোকিত মানুষ তুরাগের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এম. ফারুক হোসাইন । বিভিন্ন সামাজিক ও সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন তিনি। একজন সংস্কৃতিমনষ্ক ও ইসলামিক মানুষ হিসাবেও তাঁর কাজ ছড়িয়ে আছে এ দেশের সর্বত্র।
পরিশেষে তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনোই থেমে ছিল না কুচক্রীরা। কিন্তু সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে, বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আওয়ামী লীগ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম-গ্রামান্তরে। গণমানুষের ভালোবাসা ও আস্থায় একমাত্র জায়গায় পরিণত হয় এই দল।
বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে, দেশ এখন সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করে- উন্নত বিশ্বের পথে ধাবমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরে, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। তিনি আরো বলেন, আমার জীবনে প্রথম থেকেই আওয়ামীলীগের সংগঠনে ওপ্রোতভাবে জড়িত আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব এবং এই তুরাগবাসীসহ দলীয়কর্মীদের নিয়ে কাজ করে আসছি ভবিষ্যতে দলের কর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাবো। আমি সকলের কাছে দোয়া কামনা করি এবং এই বাংলার মাটিতে যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এই দলকে ভালোবেসে যাব।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশ থেকে দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।