তুরাগ প্রতিনিধি (ঢাকা) :
রাজধানীর তুরাগে নয়ানীচালা এলাকায় শনিবার ১৬ই মে) আনুমানিক বিকাল ৫ টার দিকে একটি বাড়িতে মীম (১২) নামে এক কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, তুরাগের নয়ানীচালা এলাকায় হাসান মঞ্জিলের ৪র্থ তলায় রান্নাঘরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পরনের কাপড় খুলে ফেলে তাকে ধর্ষন করা হয়। একপর্যায়ে মেয়েটি ৪ তলা থেকে অশ্লীল অবস্থায় বাঁচাও বাঁচাও বলে নিচে নেমে আসে, তার আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটির কাছে ঘটনার বিবরন শুনে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে তুরাগ থানার এস আই ওয়াজিউর তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
ধর্ষণকারী তাওহীদুল ইসলাম (২৭) মৃত হাজী মনিরুজ্জামান এর ছেলে। তুরাগের নয়ানীচালার স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় একটি সুত্রে জানা যায়, তাওহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিকবার এমন অভিযোগ পূর্বেও হয়েছে । বিভিন্ন সময় এ ধরণের অভিযোগ এলেও সমাজের কিছু মানুষ বিচারের নামে ধর্ষককে বাচিয়ে দিতেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাওহীদুল ইসলামের (মা) নুর জাহান মেয়েটিকে দশ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েটিকে বাসা থেকে বের করার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মীম আক্তার এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি আমার আম্মুর সাথে উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের জন্য গেলে মোঃ তাওহীদুল ইসলাম আমাকে ৫০টাকা দিয়ে বলেন, আমার সাথে আসো আমার আম্মু ঈদের খাদ্য সামগ্রী ও ঈদের জামা কাপড় দিবে বলে আমায় নিয়ে আসে। বাড়িটির সামনে এসে বলে ৪ তলা পর্যন্ত যেতে হবে। আমার আম্মু অসুস্থ নিচে আসতে পারবেনা। এমন কথার পরে আমি উপরে গেলে ৪র্থ তলার একটি খালি রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে মুখে গামছা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল মোত্তাকীন জানান,এই বিষয়ে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ধর্ষণকারী তাওহীদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে । তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান আছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply