মনির হোসেন (শিশির) :
রাজধানীর তুরাগে দুই বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে মামুন নামে (২৫) এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে তুরাগ থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রবিবার (০৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তুরাগের খায়ের টেক এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতিত শিশুটির মা জানান, তুরাগে খায়েরটেক এলাকায় তার শিশু কন্যাকে রাহামনি (২) নিয়ে স্থানীয় মানিক মিয়ার ভাড়া বাসায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছিলো। সেই সুবাধে পাশের রুমের ভাড়াটিয়া ধর্ষক মামুনের পরিবারের সাথে সু -সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের জেরে তাকে মামা বলে তাদের ঘরে যাওয়া আসা করত। রবিবার অন্যান্য দিনের ন্যায় শিশু কন্যার মায়ের কোল থেকে নিয়ে রুমে যায় মামুনের স্ত্রী। স্বামীর কাছে শিশু কন্যাকে রেখে স্ত্রী রান্না ঘরে গিয়ে রান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। স্ত্রী ব্যস্ত থাকায় মামুন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ২ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে শিশু কন্যাকে পাশের রুম থেকে তার মা নিয়ে আসেন, হঠাৎ শিশুটি কান্না করে এবং ব্যথা বলে চিৎকার করে। শিশুর মা শিশুটির শরীরের ব্যথা ও যৌনাঙ্গের রক্তক্ষরণ দেখে বাসার পাশের ফার্মেসিতে নিয়ে যান। ফার্মেসীতে থাকা কর্মচারী মেডিকেলে নিয়ে যেতে বললে, উত্তরার একটি বেসরকারি মেডিকেলে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুক্তভোগী পরিবারকে বলেন, এটি পুলিশ কেইস আগে থানায় যান। একথা বলে ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় পাঠিয়ে দেন। থানায় বিষয়টি অবগত করলে, তুরাগ থানার এস আই খায়ের সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান স্থানীয়রা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে রেখেছে। সেখান থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক মামুনকে রাত ১০ টায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, ‘ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আসামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসি।
এই বিষয়ে তুরাগ থানায় ১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। যার মামলা নং -১৪, তাং -১০/১০/২২ইং।
ধর্ষক মামুন শেরপুর জেলার নকলা থানার কবুতরবাড়ি গ্রামের মো: আলালের ছেলে। বর্তমানে তুরাগের খায়েরটেক এলাকায় মানিকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছিলেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply