মোলা তানিয়া ইসলাম তমাঃ
রাজধানীর তুরাগে পারিবারিক কলহের জের ধরে রানু বেগম (৪২) নামের এক গৃহবধ‚কে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত রানু বেগমের স্বামী ফরিদ (৪৫)কে পুলিশ আটক করেছে । নিহত রানু বেগম, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার পুনদি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ।
এ ঘটনায় নিহত রানু বেগমর ছোট ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ২৬শে মার্চ মঙ্গলবার রাতে তুরাগ থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন যার নং ৩২ । মামলা দায়ের করার পর ফরিদকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ । ২৫শে মার্চ বিকেলে তুরাগের তাফালিয়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে।
ঐ দিনই সন্ধায় পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠায়। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তুরাগ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন জানান, নিহত গৃহবধ‚র প্রায় ২বৎসর প‚র্বে বিয়ে হয় ভোলা জেলা সদরের চর রমেশ এলাকার খোরমুজ হাওলাদারের ছেলে ফরিদের । বিয়ের পর ফরিদ স্ত্রীকে নিয়ে তুরাগের তাফালিয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতো এবং পেশায় একজন ভ্যান চালক । সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ ও মারামারি ঘটনা ঘটতো । এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ফরিদ, স্ত্রী রানু বেগমকে ব্যাপক মারপিট করে, এক প্রজায় রানু বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফরিদ । হত্যার পর রানুর লাশ পাশের একটি পুকুরে ফেলে আসে ফরিদ ।
পরবর্তী পুকুরে রানুর লাশ দেখতে পেয়ে পথচারীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে পুকুর থেকে রানুর লাশ উদ্ধার করে । ঐ কর্মকর্তা আরও জানান, আটককৃত ফরিদ পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা শিকার করেছে ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply