আরিফ রাব্বানী :
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারী থাকার পরেও বিচারকের রায়কে তোয়াক্কা না করে মোকদ্দমায় উল্লেখিত ভূমি থেকে জোর-জবরদস্তি করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। বাধা দেওয়ায় মামলার বাদীকে খুন জখমের হুমকী সহ জমির সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করেছে প্রভাবশালী একটি মহল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ইন্দনে উক্ত ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্রে জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্য ও সূত্র মতে জানা গেছে- উপজেলার ১০নং মঠবাড়ী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী এলাকার নূরুল ইসলামের পুত্র আলেক মাহমুদের মালিকানাধীন খাগাটিপাড়া মৌজার আর.ও.আর- ৫৯১ হাল- ১৪৪৪, সাবেক দাগ নং- ২৪২, হাল ৫৩২ এর কাতে ৮ শতাংশ জমি জোর পূর্বক ক্ষমতার দাপুটে দখলে নিতে ভিন্ন পায়তারা ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছিল স্থানীয় মৃত সুলতান বেপারীর ছেলে সাইফুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম ও হযরত আলীর পুত্র আঃ রশিদ নামক প্রভাবশালী একটি মহল। ঘটনাটি স্থানীয় গন্যমান্যদের অবগত করে তাদের পরামর্শে বিজ্ঞ আদালতে ফৌ: কা:বি: আইনে জমির মালিক আলেক মাহমুদ মামলা দায়ের করে যার মোকদ্দমা নং ৯৩২/১৭। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে স্থানীয় শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে মামলায় বর্ণিত তফসিলকৃত জমির উপর ১৪৪ ধারা জারী করলেও মামলার আসামী সেই প্রভাবশালী মহলটি উক্ত জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা বেআইনীভাবে ক্ষমতার প্রভাবে কর্তন করে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিরীহ বাদী আলেক মাহমুদ বাধা দিতে গেলে ক্ষমতাধর দখলবাজ গংরা তাকে খুন জখমের হুমকী সহ জমির দখলে গেলে তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে বলে দাবী করে। নিজ জমি দখলে নিতে চাঁদার বিষয়টি আলেক অস্বীকার করায় চাঁদাবাজ এই সন্ত্রাসী চক্রটি আলেকের জমির চারপাশে নিমার্ণাধীন টিনের বেড়া ভাংচুর সহ বিভিন্ন তান্ডব চালায়। অভিযোগ উঠেছে- দখলবাজদের সাথে আঁতাত করে এসব কর্মকান্ডে মূল হোতা ও নাটের গুরু হিসাবে পর্দার আড়ালে থেকে ইন্দন যোগাচ্ছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ মন্ডল। আলেকের সাথে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত ভাবে সাপে-ভেজীতে সম্পর্ক থাকায় সর্বদায় সে আলেকের বিরুদ্ধাচরণ করে বলে জানান স্থানীয়রা। তাই বিভিন্নভাবে আলেককে ফাঁসাতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী এই চক্রটি তাদের নিজেদের বাড়ী-ঘর নিজেরাই আগুনে পুড়িয়ে আলেকের নামে ত্রিশাল থানায় ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দেয়। যার নং- ০৬, তারিখ- ০২/১২/২০১৭ইং। এতে ফলপ্রসূ না পাওয়ায় একই ঘটনায় আদালতে আরেকটি মামলা দিয়েছে যার নং- ১৭০/১৭। এই নিয়ে স্থানীয় মহলের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। একটার পর একটা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে নিরীহ আলেককে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও তীব্র সমালোচনা। স্থানীয়দের প্রশ্ন একই ঘটনায় একজনের নামে কয়বার মামলা করা যায় ? স্থানীয় সাধারণ মানুষ ঘটনার সত্যতা যাচাই পূর্বক আলেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুছ মন্ডলের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বক্তব্য জানার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply