নবিজুল ইসলাম নবীন, নীলফামারী প্রতিনিধি :
সারা দেশে শুরু হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট ক্লাস্টার, খগাখড়িবাড়ি ক্লাস্টার এবং দক্ষিণ বালাপাড়া ক্লাস্টারে গত বৃহস্পতিবার (১৮মে) অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা, যেখানে প্রশ্নপত্রে ছিলো অসংখ্য ত্রুটি।
বিভিন্ন শব্দের বানানে ছিলো অসংখ্য ভূল। (২২মে) ইংরেজি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর প্রশ্নপত্রে ছিলো অসংখ্য ভুল । পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি সিন কম্প্রিহেনশন ছিল অর্ধেক, যেখানে পুরোটাই থাকার কথা। বাচ্চাদের অভিযোগ ছিল যে প্রশ্ন হয়েছে পুরো কম্প্রিহেনশন থেকে অথচ প্রশ্নপত্রে কম্প্রিহেশন দেওয়া হয়েছে অর্ধেক। (২১মে) অনুষ্ঠিত গনিত প্রশ্নপত্রে প্রশ্নের সাথে মিল নেই একাধিক উত্তরের।
অধিকাংশ প্রশ্নপত্রে ভুল নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট ক্লাস্টারের প্রায় ২৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০০০ শিক্ষার্থী, বালাপাড়া ক্লাসস্টারের প্রায় ৪২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩০০ শিক্ষার্থী এবং খগাখড়িবাড়ি ক্লাস্টারের প্রায় ২৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০০০ শিক্ষার্থী । অনুষ্ঠিত পরীক্ষার বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত প্রায় সব প্রশ্নপত্রই দেখা যায় ভুল।
প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন! যা নিয়ে অভিভাবক ও সুশীল সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে প্রাথমিক শিক্ষার শুরু হতে হবে প্রাথমিক অবস্থা থেকেই। শিশুদের কচি মনে প্রকৃত শিক্ষার বীজটা বপন করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষার প্রারম্ভিক পর্যায়।
একবার ভুল দিয়ে শুরু করে শিক্ষাজীবনের কোনো স্তরে আবার সেটি শোধরানোর সময় পাওয়া কঠিন। প্রাথমিক অবস্থায় গুণগত, মানসম্পন্ন ও সঠিক শিক্ষাটাই দেয়া উচিত। অন্তত এ ক্ষেত্রে এতটুকু ছাড় দেয়া মানে, সমৃদ্ধ জাতিগঠনে ঠিক ততটুকুই পিছিয়ে পড়া। প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে সব শিক্ষার মূল ভিত্তি। সেখানে যদি এত বড় ভুল হয় তাহলে কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে বলাবাহুল্য ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুর হাট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব ফিরোজুল আলম জানান, আমার শিক্ষক কমিটি প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে, আমি পরিক্ষার ডিউটিতে ছিলাম তাই আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি, কোথায় ভুল হয়েছে বলতে পারছিনা, আমি দেখে আপনাদের জানাবো। কিন্তু পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ করে কোন সারা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ কে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক যদি আমাদের শিক্ষা খাতে এমন অবস্থা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা কোথায় গিয়ে শিখবে,আমি বিষয়টি দেখছি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply