খুলনা ব্যুরো: মার্চের শুরু থেকে জেলার ৬৮টি ইউনিয়নে ১০ টাকা দরে এবং মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে রোববার থেকে ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত খুলনার বড় বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি। সরকারী চালে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় ভোমরা ও বেনপোল স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২শ’ মেট্রিক টন ভারতীয় চাল খুলনার বাজারে আসছে। খোলা বাজারে মোটা চাল কেজি প্রতি ৩৭ টাকা এবং চিকন চাল ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাদ্য বিভাগের সূত্র জানান, চালের মূল্য স্থিতিশীল এবং হত দরিদ্র পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় জেলার ৬৮টি ইউনিয়নে ১০টাকা মূল্যের চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। ১শ’ ৭৩ জন ডিলার চাল বিক্রির কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কার্ড প্রতি ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। জেলার ৮৩ হাজার পরিবার এ সুবিধা ভোগ করছে। অপরদিকে ৭৭ জন ডিলারের মাধ্যমে গত ৪ মার্চ থেকে মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৩০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি হচ্ছে। মাথা পিছু ৫ কেজি করে চাল কেনার সুযোগ পাচ্ছে। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন চাল বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৩ জন ডিলার ৩০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি করে।
বড় বাজারের পাইকারী চাল ব্যবসায়ী লক্ষ্মী ভান্ডারের মালিক বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান, খুলনার বাজার দখল করেছে ভারতীয় চাল। স্থানীয় মোকামগুলোতে ধানের সংকট। ভোমরা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ২শ’ মেট্রিক টন চাল খুলনার বাজারে আসছে। গেল মাসের তুলনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত দামের কোন হেরফের হয়নি। স্বর্ণা প্রতি কেজির পাইকারী মূল্য ৩৭-৩৮ টাকা, মাঝারি ৩৮-৪০ এবং মিনিকেট ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বুধবার থেকে ভারতীয় চালের মূল্য কমবে বলে তিনি আশাবাদী।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী, উপজেলা পর্যায়ে মাঝারি চালের প্রতি কেজি খুচরা মূল্য ৪৫-৪৬ টাকা এবং মহানগরী এলাকায় ৪৬-৪৭ টাকা দরে বিক্রি হয়। রোববার উপজেলা পর্যায়ে একই চাল কেজি প্রতি ৪৭-৪৮ টাকা এবং মহানগরী এলাকায় ৪৮-৪৯ টাকা দরে বিক্রি হয়।
জেলার ১০টি খাদ্য গুদামে ৯০ হাজার ২শ’ ১৪ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply