মোঃ সুমন হোসেন, কালীগঞ্জ :
স্বামী মারা গেছে প্রায় দশ বছর আগে। অনেক সচ্ছল মহিলার ভাগ্যে সরকারী বিধবা ভাতা জুটলেও এই দশ বছরে ছিন্নমূল তহমিনা বেগম বিধবা ভাতা হয়নি। মোছাঃ তহমিনা বেগম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা অধীন বলিদাপাড়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম বিশ^াসের স্ত্রী। ২০০৯ সালে স্বামী ইব্রাহিম বিশ^াস তিন পূত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে না ফেরার দেশে চলে গেছে। সহায় সম্পদ বলতে রেখে গেছে মাত্র তিন শতক বসত ভিটা। স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবা তহমিনা বেগম নাবালক পূত্র-কন্যাদের বুকে আকড়ে ধরে এই দশ বছরে অতি কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সন্তানদের পিতার অভাব বুঝতে দেয়নি বিধবা তহমিনা বেগম।
এ ব্যাপারে সম্প্রতি কথা হয় বিধবা তহমিনা বেগমের পূত্র গার্মেন্টস দোকান কর্মচারী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সাথে। সে জানায় তার মাতা বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, গ্রাম্য সমাজপতি, সরকারী দলের নেতাকর্মী সহ অনেকের কাছে বার বার দেন দরবার করেছে। কিন্তু আজো তার মায়ের ভাগ্যে জোটেনি বিধবা ভাতা কার্ড। বিধবা তহমিনা বেগম নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, তার গ্রামের দু’তিন জন বিধবা ভাতা কার্ড করে দেবার জন্য ৪/৫ হাজার টাকা দাবী করেছে। তিনি এই টাকা দিতে পারেনি বলে বিধবা ভাতা কার্ডও তার ভাগ্যে জোটেনি। স্বামী হারা তহমিনা বেগমের বিধবা ভাতা কার্ড পাবার শেষ ভরসা স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জননেতা আনোয়ারুল আজিম আনার, পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ মকছেদ আলী বিশ^াস ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সংসার জীবনে সামান্য একটু সচ্ছল ভাবে জীবন যাপনের জন্য তহমিনা বেগম একটি বিধবা ভাতা কার্ড পাবার জোর দাবী জানিয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply