মোঃ নুর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর:
দিনাজপুর জেলায় বোরো খেতে সোনালী রঙ ধরতে শুরু করেছে। পুরোদমে ধান পাকতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। এর পরেই কৃষকরা তাদের কঙ্খিত ফসল কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারবেন। এবার ধানেরকাঙ্খিত দাম না থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। সময়ের পরিবর্তনে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর থেকেই চাষিরা বোরো আবাদ করছেন। আগাম বোরো খেতে পুরোদমে শীষ বেরিয়ে পাকতে শুরু করেছে।
এ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ককেদিন আগেও আলুর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন চাষিরা। চাষিরা এবারে আগাম সময়মত ও দেরীতে এ তিন পর্বের আলুর জমিসহ অন্যান্য জমিতে বোরো ধান রোপন করেছেন। তাই ধান কাটা-মাড়াইও হবে তিন পর্বে। তবে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শেষ পর্বের আলুর জমিতে অর্থাৎ ১৫ মার্চেও পর রোপণকৃত বোরো ধানকে উচ্চ ফলনশীল (উপসি) আউশ বলছেন। যেটা এলাকার চাষিরা বোরো ধান হিসেবে চাষাবাদ করে থাকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১ লক্ষ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাধ হয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলার কয়েক জন বোরো চাষি বলেন, তাদের খেতের ধান ১৫ দিনের মধ্যে কাটা যাবে। তবে তাদের এলাকায় বেশীরভাগ জমিতে বোরো খেতে শীষ বের হচ্ছে।কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিভিন্ন জাতের বোরো আবাদ হয়েছে। এসব জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান- ২৮, ২৯, ৪৯, ৫০, ৫২, ৬২, বিআর-১৫, ১৬ এবং কিছু জমিতে হাইব্রিড।
তবে এবারে বোরো বীজতলায় কোল্ড ইনজুরি না থাকায় বোরো ধানের চারা সতেজ ছিল এবং ফলন ভাল হবার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোঃ তহিদুল ইকবাল বলেন বোরো চারা রোপণের উপযুক্ত সময় ১৫ জানুয়ারি থেকে ২০ ফের্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি হলেও চাষিরা শীতকে উপেক্ষা করেই ধানের চারা রোপণ করেছেন। অনেকে আলু তুলে বোরো চারা রোপণ করেছেন। তাই এবার লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের তুলনায় ধানের দাম কম এটা সত্যি। তবে এমন নয় যে চাষিদের লোকসান হচ্ছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এই দামেও চাষিরা লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply