মোঃ নূর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর: দিনাজপুরে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এদের মলা, ঢেলা, কই, দেশী মাগুর, গোচি, রূপচাঁদা, পুটি, টেংরা, উরাও, ষোল, সাটি সহ নানান দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। দিনাজপুর সহ ১৩ থানায় ক্রমাগত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় এ সব বিভিন্ন প্রজাতির মাছ গুলো। দিনাজপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, বেশির ভাগ পুকুরই মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। যে টুকু খাল-বিল, পুকুর রয়েছে সেখানে কেউ মাছচাষে আগ্রহ নেই। জানা গেছে, পরিস্থিতি উত্তরণে মাছ রক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে পরিকল্পিত উদ্যোগ ছাড়া পথ নেই। পাশাপাশি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বিদ্যমান জলমহল নীতিমালা। তাহলে একদিকে যেমন দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত মাছ রক্ষা করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে বাড়বে মাছের উৎপাদনও। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে বিদ্যমান জলমহাল আইনের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছচাষী জানান, মৎস্য অধিপ্তরের মাছচাষ বিষয়ে কোনো তদারকি নেই। উনারা শুধু অফিসে ও বাসায় সময় কাটান। মৎস্য মৌসুমেও তাদের কোন পরামর্শও পাই না। মৎস্যচাষীদের এমন দুরদশা প্রসঙ্গে মৎস্য অধিদফতর সংশ্লিষ্ট একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, আমাদের কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব অবহেলা করার কথা নয়। যদি কোন অভিযোগ পাই তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে যদিও দেশীয় মলা, ঢেলা, টেংরা, পুটি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সাধারণ মানুষরা কিনে খেতে পারছেন না। কারণ দাম খুবই চড়া। এই দেশীও মাছগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে দিনাজপুরে মৎস্য কর্মকর্তার ব্যর্থতার কারণে মৎস্য কিংবা পোনা সংগ্রহ সম্ভব হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply