বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

দুই সন্তানের জননী স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭
  • ৫৪ Time View

আনোয়ার হোসেন জীবন, রাণীশংকৈল :

ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল লেহেম্বা গ্রামের আমিরুলের স্ত্রী সুমি স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। পাশের উপজেলা পীরগঞ্জের মধ্য গুয়াগাও গ্রামের ইসলামউদ্দিনের মেয়ে মৌসুমী আক্তার সুমির সাথে রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা পারবর্তীপুর গ্রামের মফিজউদ্দিনের ছেলে আমিরুলের বিবাহ বন্ধন হয়। ৮ বছরে  তাদের সংসারে ফুট ফুটে দুই সন্তান আসে। বড় মেয়ে আনিসা (৬), ছোট ছেলে মুসা (২)। এক সময় স্বামীর পরকিয়ার জের ধরে তাদের সংসারে অশান্তির আগুন জ্বলে। স্ত্রী সুমীর উপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। সুমি দুই মাসের গর্ভবতি থাকাবস্থায় তাকে তার স্বামী কোন অযুহাত ছাড়াই এক তরফাভাবে তালাক দিলে সুমি বাবার বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হয়। কিছুদিন পর স্থাণীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিচার সালিশে সুমি স্বামীর সংসারে ফিরে এসে ছয় মাস ঘর সংসার করে। তাতেও লাভ হয়নি গৃহবধু সুমির। আবার নির্যাতন শুরু হয়। সুমিকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। জীবন বাঁচার তাগিদে আবারও বাধ্য হয়ে ফিরতে হয় বাবা-মায়ের সংসারে। অভাবি বাবার সংসারে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দুই সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটছে সুমির।  দুই সন্তানের বোঝা মাথায় নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সুমির কোন লাভ হয়নি। সে পায়নি কোন সুবিচার। এদিকে আমিরুল স্ত্রী সন্তানের মর্যাদা না দিয়ে সুমিকে মোবাইল ফোনে মেরে ফেলার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। প্রাণের ভয়ে ভবিষ্যতের জন্য সুমি ২০ আগষ্ট পীরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, যাহার নম্বর ৭৭৯। স্বামীর অধিকার থেকে বঞ্চিত সুমি রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাব, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউনেডশন রাণীশংকৈল কার্যালয়/আসক পীরগঞ্জ কার্যালয়, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাব, পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাধারণ ডায়েরীর একটি অনুলিপি দিয়েছেন। তিনি স্বামীর নির্যাতনের সুবিচার চেয়ে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। উল্লেখ্য সুমিকে আইনি সহায়তা দেওয়ার কারনে নাহিদা পারভিন রিপাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় আমিরুল। মর্মে পীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন রিপা যা তদন্তাধিন রয়েছে বলে এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক জানান। এ আমিরুল আসামাজিক কার্যকলাপের অপরাধে কয়েক বার বিচারের সম্মুখিন হয়েছে। জরিমানা দিতে হয়েছে তাকে কয়েক লক্ষ টাকা। তার পরও আমিরুল অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত রয়েছে। আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছে। নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে জমজমাট সুদের ব্যবসা। অর্থ অহংকারে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্ত্রী-সন্তানের অধিকারটুকু কেড়ে নিতে সে কুন্ঠাবোধ করছেনা। আজ স্ত্রী স্বামীর অধিকার আর বাচ্চা বাবার অধিকার পাওয়ার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে চোখে মুখে হতাশার ছাপ পড়েছে। কে শুনবে এদের আকুতি, কার দ্বারা ফিরিয়ে পাবে অধিকার ! বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পায়নি সুমি তাই আমিরুলের সুবিচার চেয়েছে নির্যাতিতা গৃহবধু সুমি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়