ফারুক পাটোয়ারী :
রাজধানী সহ আশেপাশের এলাকা ও উত্তরখানে চলছে রাজউকের প্লান বহির্ভূত নিজেদের ইচ্ছামতো ভবন নির্মাণের হিড়িক। নির্দিষ্ট রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এবং সরকারের নির্দিষ্ট ভবন নির্মাণ কোড ফলো না করে এক শ্রেণির উঠতি বড়লোকরা নিজ নিজ এলাকায় রাস্তার জায়গা না ছেড়ে নিয়মের তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মাণ করছে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে এসব ভবন গুলো যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে নিহত হতে পারে অনেক মানুষ। এ সমস্ত ভবন মালিকরা অধিক লাভের আশায় নিজের নির্দিষ্ট জায়গায় ফাউন্ডেশন ঠিক রেখে ২য় তলায় স্কয়ারফিট বৃদ্ধি করে ভবন নির্মাণ করে বেশি টাকা ভাড়া পাওয়ার আশায় এভাবে ভবন নির্মাণ করছে বলে জানা যায়। বিভিন্ন ভাবে রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এসব ভবন মালিকরা।
এসব বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রশ্ন করলে তারা জানায়, রাজউকের অনেক কর্মকর্তারা আমাদের কাছে আসে, তাদেরকে চা খাওয়াই, কিছু খরচ দেই, তারা চলে যায়। তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। এমনি একটি অভিযোগ উঠে এসেছে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টারের অনুসন্ধানে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৫ নং ওয়ার্ড ডালি মেম্বার বাড়ীর রোডে ৫-৬ ফুট রাস্তায় ১.৬৫ কাঠার মধ্যে রাজউক প্লান ছাড়া ও নকশা বহির্ভূত ৫ম তলা ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছেন ভবন মালিক আব্দুল কাইয়ুম।
জানা যায়, তিনি একজন এমব্রয়ডারী কারখানার মালিক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১.৬৫ কাঠার মতো জায়গায় ৫ম তলা ফাউন্ডেশন ভবন নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত। সর্বনিম্ন রাজউক প্লান পাশ নিতে আড়াই থেকে তিন কাঠা জমি থাকতে হবে। ভবন নির্মাণে আর্কিটেকচার ডিজাইনার দিয়ে ভবন নির্মাণে নিয়ম বহির্ভূত রাজউক কর্তৃক অনুমোদন না নিয়ে প্লান পাশ ছাড়া কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আব্দুল কাইয়ুম। ভবনটি চারদিকে কোন রকম ছাড় না দিয়ে ভবন নির্মাণ করছে, যা রাজউকের নিয়মের বাহিরে। সেখানে কোন অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস এসে প্রবেশ করার মতো কোন রাস্তা নেই। এলাকার কিছু পাতি মাস্তান দিয়ে ক্ষমতার দাপটে ভবন নির্মাণে রাত দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভবনের ব্যাপারে মালিককে না পেয়ে তার শ্যালক মোঃ এখলাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বাড়ীটি আমার ভগ্নিপতির। আমি দেখাশুনা করছি। রাজউক প্লান পাশের ব্যাপারে কথা বললে এখলাস বলেন আমাকে আরোও ২-৩ দিন সময় দিন আমি আপনাদের দেখাবো। কিন্তু ২ দিন পর তাকে ফোন দিলে সে বলে এখানে আপনার কি কাজ? রাজউকের কাজ রাজউক বুঝবে, আপনি কেন এ বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।
এ বিষয় নিয়ে রাজউকের সাথে যোগাযোগ করলে তারাও এই ভবনের অনুমতি সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান। ভবনের মালিক নিজে পরিচালনা না করে তার শ্যালক এখলাসকে দিয়ে বাড়ীটির কাজ পরিচালনা করাচ্ছেন। রাজউক নিয়মের বাহিরে এসব ভবন মালিকরা ভবন তৈরি করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে একটি হুমকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এই বিষয় গুলো নজরদারীতে এনে নির্দিষ্টভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে রাজউকের সিস্টেমকে ফলো করে পর্যাপ্ত রাস্তার জায়গা ছেড়ে ভবনের চারদিকে রাজউকের নিয়মে ভবন নির্মাণ না করলে জাতির জনকের সোনার বাংলাদেশ কখনোই গঠনমূলক হবেনা।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply