হাসনাত রাব্বু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু ফকির (বর্তমান চেয়ারম্যান) ও তার সমর্থকদের উপর দিনেদুপুরে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে ছিনিয়ে নেয়া কয়েকটি মটরসাইকেলের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত একটি মোটরসাইকেল ১০ মাস পর দোস্তপাড়া বিসমিল্লাহ অটো এগ্রো থেকে আজ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর দিনেদুপুরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের দোস্তপাড়া মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, ওই দিন গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নে সতন্ত্র প্রার্থী ও সমর্থকদের উপর দোস্তপাড়া মোড়ে সশস্ত্র হামলা চালায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু ফকিরসহ অন্তত ১৫ জন আহত করে বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল ভাংচুর করে হামলাকারীরা এবং কয়েকটি মটরসাইকেল নিখোঁজ হয়।
হামলার শিকার আহত মিন্টু ফকির এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়াই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক় তাকে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এর পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আহত মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরের কর্মী-সমর্থক ও খাজানগরবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোমিন মণ্ডলের গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং খাজানগরের উত্তেজিত জনতা দোস্তপাড়ায় হাললার চেষ্টা চালালে পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বেলা তিনটার দিকে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মিন্টু ফকিরের সর্মথকরা অভিযোগ করে বলেন, সংঘর্ষের সময় মোমিন মন্ডলের সমর্থকরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু ফকিরের কয়েকশ’ সমর্থক লাঠি সোটা নিয়ে কুষ্টিয়া- চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় মিন্টু ফকিরের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার পর যান চলাচল শুরু হয়।
অবশেষে ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর নিখোঁজ কয়েকটি মটরসাইকেলের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় একটি মটরসাইকেল দোস্তপাড়া বিসমিল্লাহ অটো এগ্রো উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে বটতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু ফকিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার উপর অন্যায়ভাবে হামলা করা হয়েছিল ভবিষ্যতে যাতে অন্য কারো উপরে কেউ যেন এই ধরনের অপরাধ করতে সাহস না পায় সেজন্য আমি আমার উপরে এই এই হামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার চাই। ক্ষতিগ্রস্ত যে মটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে মামলার এজাহারে এই গাড়ীর চেসিস নাম্বার ও ইন্জ্ঞিন নাম্বার উল্লেখ করা আছে। তবে আরো কয়েকটি মটরসাইকেল এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply