মনিরুল ইসলাম,সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধি:নওগাঁর ধামইরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে আব্দুল কাদের (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে ধামইরহাট উপজেলার নোদীপুর গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে ওই গ্রামের নজিমুদ্দীনের পুত্র আব্দুল কাদেরের সাথে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত তছির উদ্দীনের পুত্র ফইমদ্দীন, খইমদ্দীনের পুত্র ময়নুল, মালেক ও জাকিরুলের জমিজমা নিয়ে কিছুটা মনমালিন্য ছিল। এরই সূত্র ধরে বেশ কয়েকবার শালিস বিচার হয়েছে। বিচারকরা নির্ধারিত ভাগ অনুযায়ী জমি ভাগ করে দিলেও সে বিচার মানতে রাজী ছিলনা প্রতিপক্ষের লোকজন। পরবর্তী সময়ে গত সোমবার সকালে নির্ধারিত মাপের বাইরে প্রতিপক্ষরা বেড়া দেয়। যাতে কাদেরের জায়গার কিছু অংশ ওই বেড়ার মধ্যে চলে যায়। এ সময় কাদের তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপেিয় জখম করে। এমনকি সেসময় কাদেরের লুঙ্গী খুলে গেলে লজ্জাস্থানে আঘাত করে। কাদেরের আত্ম চিৎকারে তার মা বোন এবং প্রতিবেশীরি ছুটে আসলে তাদেরকেও বে-ধড়ক মারপিট কওে ওই দুর্বৃত্তরা। পরবর্তী সময়ে কাদেরকে মৃতপ্রায় অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে পতœীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাৎক্ষনিক রাজশাহী মেডিক্যল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে কাদের মৃত্যুও সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানান গ্রামের প্রায় শতাধিক জনগন।
অপরদিকে কাদেরের এমন আশংকাজনক অবস্থা হওয়ার কান্ড দেখে প্রতিপক্ষরা ওই রাতে নিজেদের ঘর বাড়ীর বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে চুরে দিয়ে ডাকাতি হয়েছে বলে চিৎকার করে। কিন্তু গ্রামবাসী তাদের এ নাটক বুঝতে পারে। তারা মামলা থেকে নিজেদেও বাঁচানোর জন্য এ সাজানো যোগসাজসী নাটক বানিয়েছে বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের জনগন।
এ ব্যপাওে খেলনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, ‘আমি মারামারির ঘটনা পরে শুনেছি। এবং কাদের মারা গেছে এমনটাও শুনেছি’।
প্রতিপক্ষের বাড়ীর ডাকাতি ব্যাপওে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে তাদেরকে আ’লীগ পার্টি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেছেন বলেও জানান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply